আজকাল ওয়েবডেস্ক: হেডিংলি, এজবাস্টন, লর্ডস, ম্যাঞ্চেস্টার এবং ওভাল। ভারত–ইংল্যান্ড সিরিজের পাঁচ টেস্ট এই ভেন্যুগুলিতে হয়েছে। সিরিজ শেষ হয়েছে ২–২ অবস্থায়। সব টেস্টেই লড়াই হয়েছে পাঁচ দিন পর্যন্ত। ব্যাট ও বলের দারুণ লড়াই দেখা গেছে। একাধিক নজির তৈরি হয়েছে। এত কিছুর পরেও টেস্ট সিরিজের পিচগুলো পছন্দ হয়নি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি)।
প্রসঙ্গত, ওভাল টেস্টের আগে পিচ দেখাকে কেন্দ্র করে ভারতীয় দলের কোচ গৌতম গম্ভীর তর্কাতর্কিতে জড়ান পিচ প্রস্তুতকারক লি ফর্টিসের সঙ্গে। সবুজ ২২ গজে টানটান উত্তেজনার ম্যাচে ৬ রানে জিতেছিলেন শুভমন গিলরা। ওভালের সেই পিচ নিয়ে এখনও মতামত জানায়নি আইসিসি। যদিও এই পিচকেই সবাই ভাল বলেছিলেন। কারণ ব্যাটার ও বোলাররা সমান সাফল্য পেয়েছিলেন। ওভালের পিচ নিয়ে মতামত হয়ত কিছুদিনের মধ্যেই জানাবে আইসিসি। তবে সিরিজের প্রথম চারটি টেস্টের পিচ এবং আউটফিল্ড সম্পর্কে মতামত জানিয়েছে বিশ্বক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা আইসিসি।
ভারত–ইংল্যান্ড প্রথম টেস্ট হয়েছিল লিডসে। হেডিংলির সেই ২২ গজকে ‘খুব ভাল’ বলেছে আইসিসি। হেডিংলির আউটফিল্ড সম্পর্কেও ‘খুব ভাল’ লেখা হয়েছে রিপোর্টে। ভারত–ইংল্যান্ড দ্বিতীয় টেস্ট হয়েছিল বার্মিংহ্যামে। এজবাস্টনের সেই পিচকে ‘সন্তোষজনক’ বলেছে আইসিসি। আউটফিল্ডকে ‘খুব ভাল’ বলা হয়েছে। ভারত–ইংল্যান্ড তৃতীয় টেস্ট হয়েছিল লন্ডনে। লর্ডসের ২২ গজও খুশি করতে পারেনি আইসিসিকে। তৃতীয় টেস্টের পিচকেও ‘সন্তোষজনক’ বলা হয়েছে। আউটফিল্ডকে ‘খুব ভাল’ বলা হয়েছে। ভারত–ইংল্যান্ড চতুর্থ টেস্ট হয়েছিল ওল্ড ট্রাফোর্ডে। ম্যাঞ্চেস্টারের সেই পিচকেও ‘সন্তোষজনক’ বলেছে আইসিসি। তবে প্রশংসা করা হয়েছে ‘খুব ভাল’ আউটফিল্ডের।
সিরিজে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখা গেলেও পিচগুলি পাশ মার্কস পেল না।
আরও পড়ুন: ৪০ বছরেও তরুণ! হ্যাটট্রিক করে বুঝিয়ে দিলেন সিআর সেভেন
এদিকে, জসপ্রীত বুমরার ফিটনেস এবং ওয়ার্কলোড নিয়ে বেজায় সমস্যায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের কঠিন সিরিজের মধ্যে তিনটেতে খেলেন তারকা পেসার। এরপর এশিয়া কাপ। কিন্তু সেই টুর্নামেন্টে অনিশ্চিত বুমরা। রিপোর্ট অনুযায়ী, ভবিষ্যতে গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ এবং ম্যাচের কথা ভেবে এবার তারকা পেসারকে সব সিরিজে খেলানো হবে না। তাঁকে যথাসম্ভব বেশি বিশ্রাম দেওয়ার পক্ষপাতি ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। একটি সর্বভারতীয় সংবাদসংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী তেমনই জানা যাচ্ছে। সর্বোচ্চ স্তরে তাঁর কেরিয়ার দীর্ঘমেয়াদী করতেই এই সিদ্ধান্ত। বিশেষ করে আইসিসি টুর্নামেন্টে এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সিরিজে তাঁকে খেলাতে চায় ভারতীয় থিঙ্কট্যাঙ্ক। পরের বছর মার্চ এবং এপ্রিলে ঘরের মাঠে টি–২০ বিশ্বকাপ। সেটাই লক্ষ্য ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের। সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের বিশ্বকাপের জন্য তাঁকে ফিট রাখতে চায়।
এখন যা পরিস্থিতি তাতে সম্ভবত এশিয়া কাপে খেলবেন না বুমরা। তাঁকে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দুই টেস্টের সিরিজের জন্য তরতাজা রাখতে চায় বোর্ড। এশিয়া কাপের পরেই সেই সিরিজ শুরু হবে। ২ অক্টোবর প্রথম টেস্ট। দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে ১০ অক্টোবর। দুই টেস্টের মধ্যে ব্যবধান মাত্র তিন দিনের। তাই হয়ত বুমরাকে এশিয়া কাপে না খেলানোর সিদ্ধান্তই নেবেন নির্বাচকরা।
