মিল্টন সেন, হুগলি:‌ ধারালো হাঁসুয়া দিয়ে বৌদিকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল দেওরের বিরুদ্ধে। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে পোলবার আলিনগরে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বাড়ি তৈরি করাকে কেন্দ্র করে অশান্তির জেরে এই ভয়ঙ্কর ঘটনা। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। দেওরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 


জানা গিয়েছে মৃতার নাম পানমণি হাঁসদা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বছর কয়েক আগে ওই মহিলার স্বামী মারা যান। মৃতার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। ছেলে ভিনরাজ্যে কাজ করেন। মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। বৌমাকে নিয়ে পানমণি বাড়িতে থাকতেন। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আলিনগরের আদিবাসী পাড়ার বাসিন্দা পানমণি বুধবার সকালে দোকানে যাচ্ছিলেন। আলিনগর পোলবা রোডের পাশের একটি ক্লাবে হাঁসুয়া নিয়ে অপেক্ষা করছিল অনিল। আচমকা সে বৌদির উপর ঝঁপিয়ে পড়ে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতো থাকে। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে যান পানমণি। পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা ছুটে আসতে পালিয়ে যায় আততায়ী। জখমকে উদ্ধার করে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।


 খবর পেয়ে পোলবা থানার পুলিশ পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। হুগলি গ্রামীণ পুলিশের ডিএসপি প্রিয়ব্রত বক্সি যান ঘটনাস্থলে। তিনি জানান, অভিযুক্ত একটি বাড়ি তৈরি করছিলেন। তাতে বাধা দেন পানমণি। যা নিয়ে অশান্তির সূত্রপাত। তার জেরেই এই ভয়ঙ্কর ঘটনা। এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে অভিযুক্ত অনিল।