আজকাল ওয়েবডেস্ক: ২০২৪ বিশ্বকাপ জেতার পরেই টি২০ বিশ্বকাপ থেকে অবর নিয়েছিলেন বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা। তাই টি২০ ক্রিকেটে ভারত নাকি দুর্বল হয়ে পড়েছে। এমনটাই মনে করছেন পাক পেসার হ্যারিস রউস। এশিয়া কাপের আগে টিম ইন্ডিয়াকে দিয়ে রাখলেন হুমকি।
আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর ক্রিকেটের এশিয়া কাপে মুখোমুখি হচ্ছে ভারত এবং পাকিস্তান। টি–টোয়েন্টি ফরম্যাটের এশিয়া কাপে দুটি গ্রুপ রয়েছে। এ গ্রুপে ভারত ছাড়াও রয়েছে পাকিস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং ওমান। গ্রুপ পর্বে ছাড়াও সুপার চারে দু’বার ভারত–পাকিস্তান ম্যাচ হতে পারে। ফাইনালেও মুখোমুখি হতে পারে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দল।
সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওয় হ্যারিসকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ‘ভারতের বিরুদ্ধে তো দুটো ম্যাচ আছে। কী হবে?’ সেখানে পাক পেসার বলেন, ‘ইনশাল্লাহ, দুটোই আমরা জিতব।’ ঘটনা হল, ভারতের কাছে পরাজিত হওয়ার রেকর্ডই বেশি পাকিস্তানের। সেটা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হোক বা টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ কিংবা ওয়ানডে বিশ্বকাপ। এমনকী ২০২৩–র ওয়ানডে ফরম্যাটের এশিয়া কাপে ২২৮ রানের বিরাট ব্যবধানে জিতেছিল ভারত। সেঞ্চুরি করেছিলেন বিরাট কোহলি। সেই ম্যাচেও খেলেছিলেন রউফ।
তবে পাক পেসারকে ক্রিকেট ভক্তরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন ২০২২–র টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা। সেই ম্যাচের ১৯তম ওভারে রউফকে পরপর দুই ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ পকেটে পুরে ফেলেছিলেন বিরাট কোহলি। এশিয়া কাপের দ্বৈরথের আগে কি সেসব ভুলে গিয়েছেন রউফ?
আরও পড়ুন: অর্শদীপকে নিয়ে কঠিন বাস্তব সামনে আনলেন কোচ, জানালেন এটা ঠিক হয়নি...
এদিকে, এশিয়া কাপের আগে নতুন নাটক করে বসলেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। ভারত–পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যাচ মানেই কোটি ভক্তের চোখে উৎসব। তবু বহুদিন ধরে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বন্ধ। শুধু বহুজাতিক টুর্নামেন্টেই মুখোমুখি হয় দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। বারবার আলোচনার চেষ্টা করেও ভারতকে রাজি করাতে পারেনি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। এবার সেই প্রসঙ্গেই স্পষ্ট অবস্থান নিলেন পিসিবি চেয়ারম্যান তথা এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের প্রধান মহসিন নাকভি। লাহোরে সাংবাদিক বৈঠকে নকভি জানালেন, ‘আমরা একেবারে পরিষ্কার করে দিচ্ছি, ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট নিয়ে আলোচনায় আর ভিক্ষা চাওয়ার প্রশ্ন নেই। সেই সময় পেরিয়ে গেছে। ভবিষ্যতে আলোচনাগুলি সমান মর্যাদা ও সমতার ভিত্তিতেই হবে’।
দ্বিপাক্ষিক সিরিজ ছাড়াও একাধিকবার বিতর্ক হয়েছে বহুজাতিক টুর্নামেন্টের আয়োজক দেশ নিয়ে। যদিও এবছরের এশিয়া কাপের হোস্ট দেশ ভারত, তবুও ম্যাচ হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে। কারণ ভারত সরাসরি পাকিস্তানে খেলতে যেতে অস্বীকার করেছে। এর আগেও পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনে বাধা দিয়েছিল ভারত। ভারতের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, নিকট ভবিষ্যতে পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ হবে না। তবে বহুজাতিক প্রতিযোগিতায় ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হবে আগের মতোই। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর এশিয়া কাপে লিগ পর্বে মুখোমুখি হবে ভারত ও পাকিস্তান। টুর্নামেন্টের পরের ধাপেও আরও একবার দুই দল মাঠে নামতে পারে।
দুই দেশের রাজনৈতিক সম্পর্ক যতই জটিল হোক, ভক্তদের কাছে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই ক্রিকেটের সর্বাধিক বিক্রিত ও রোমাঞ্চকর লড়াই।
