মিল্টন সেন: রাতের অন্ধকারে গায়েব হয়ে যাচ্ছে একের পর এক হাঁস, মুরগি, ছাগল। সিসি ক্যামেরায় দেখা গিয়েছে ডোরাকাটা চিতাবাঘের মতো এক জন্তুর ছবি। তাতেই ঘমু উড়েছে এলাকার বাসিন্দাদের। চিতাবাঘ তুলে নিয়ে যাচ্ছে হাঁস, মুরগি। চিতার আক্রমণে মৃত্যু হচ্ছে ছাগলের। আতঙ্কে পুরসভা এবং পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন ডানকুনি পুরসভার অন্তর্গত ২নং ওয়ার্ডের খড়িয়াল বাগপাড়া এলাকার বাসিন্দারা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, গত কয়েক দিন ধরেই রাতের অন্ধকারে গায়েব হয়ে যাচ্ছে হাঁস, মুরগি। এ ছাড়াও আক্রমন হচ্ছে গৃহপালিত প্রাণীদের উপর। আঁচড়-কামড়ে একাধিক ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। টানা এমন ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।
দিন কয়েক আগে স্থানীয় একটি সিসি ক্যামেরায় ধরা পরে ডোরাকাটা চিতাবাঘের মত দেখতে একটি প্রাণীর ছবি। তার পরেই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। রটে যায় গৃহপালিত পশুদের উপর চিতাবাঘের হামলা হচ্ছে। যদিও এই পাড়ার পাশেই রয়েছে একটি জলা জঙ্গল আর এই জঙ্গলে মেছো বিড়াল বা বাঘরোলের বসবাস রয়েছে। মেছো বিড়াল সাধারণত জলা জঙ্গলে বসবাস করতে ভালোবাসে। তবে অন্ধকার হলেই খাদ্য সংগ্রহের লক্ষ্যে শিকার করতে লোকালয়ে প্রবেশ করে। ডানকুনি, হিন্দমোটর, কোন্নগর, রিষড়া অঞ্চলে একাধিক বন্ধ কলকারখানা জঙ্গলে পরিপূর্ণ। সেই সমস্ত এলাকায় আগে মাঝে মধ্যেই বাঘরোলের দেখা মিলত। এখন সেই সংখ্যা অনেকটাই কমেছে। বর্তমানে বাঘরোল বিলুপ্তপ্রায়। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, বাড়ি থেকে হাঁস মুরগি তুলে নিয়ে গেলেও অতটা ভয় নেই। ভয় এলাকার শিশুদের নিয়ে। ইতিমধ্যেই এলাকার বহু ছাগলের উপর আক্রমণ করেছে ওই জন্তুটি। এখনও পর্যন্ত ওই জন্তুর আক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ২০টির বেশি ছাগলের। এ বার যদি এলাকার শিশুদের উপর আক্রমণ করে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে। বাঘরোলের হাত থেকে মুক্তি পেতে স্থানীয় কাউন্সিলর এবং ডানকুনি থানার দ্বারস্থ হয়েছেন বাগপাড়ার বাসিন্দারা।
 
 কাউন্সিলর বলেন, "এলাকাবাসীকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে বন দফতরের সাহায্য নিয়ে খাঁচা পেতে প্রাণীটিকে ধরে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।"
