কর্মচারী ভবিষ্যনিধি তহবিল সংস্থার তরফে পেনশনভোগীদের জন্য বড় স্বস্তির একটি ঘোষণা করা হয়েছে। ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্টস ব্যাঙ্ক (আইপিপিবি) এখন পেনশনভোগীদের বাড়ি থেকে ডিজিটাল জীবন শংসাপত্র (লাইফ সার্টিফিকেট) জমা দেওয়ার সুবিধা দিচ্ছে। এই সুবিধার জন্য দু'টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই অংশীদারিত্বের লক্ষ্য হল প্রবীণ নাগরিকদের জীবন শংসাপত্র জমা দেওয়ার জটিল প্রক্রিয়া থেকে মুক্তি দেওয়া এবং প্রযুক্তির মাধ্যমে বিষয়টিকে সহজ এবং অ্যাক্সেসযোগ্য করে তোলা।
2
6
আইপিপিবি এই পরিষেবার জন্য তার বিশাল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করবে। সারা দেশে ১.৬৫ লক্ষেরও বেশি ডাকঘর এবং প্রায় ৩০০,০০০ ডাক পরিষেবা প্রদানকারী (পোস্টম্যান এবং গ্রামীণ ডাক সেবক) এই উদ্যোগে অংশগ্রহণ করবে।
3
6
ফেস আইডেনটিফিকেশন প্রযুক্তি এবং আঙুলের ছাপ দিয়ে বায়োমেট্রিক যাচাইয়ের মাধ্যমে পেনশনভোগীদের ডিজিটাল জীবন শংসাপত্র সহজে জমা দেওয়ার সুবিধার্থে সকলকে ব্যাঙ্কিং ডিভাইস এবং বায়োমেট্রিক সিস্টেম প্রস্তুত করা হয়েছে।
4
6
ইপিএফওর আওতাধীন কর্মচারীদের বার্ষিক ভিত্তিতে জীবন শংসাপত্র যাচাই করা প্রয়োজন। পূর্বে, পেনশনভোগীদের এই উদ্দেশ্যে ব্যাঙ্ক বা ইপিএফও অফিসে যেতে হত। তবে, ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট সিস্টেম এখন এই প্রক্রিয়াটি অনলাইনে সম্পন্ন করার সুযোগ করে দিয়েছে। যা প্রবীণ নাগরিকদের দীর্ঘ লাইন এবং কাগজপত্রের ঝামেলা থেকে মুক্তি দেবে, সময় সাশ্রয় করবে।
5
6
ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্টস ব্যাঙ্ক ২০২০ সালে ডোরস্টেপ ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট পরিষেবা চালু করেছিল। এই পরিষেবার উদ্দেশ্য ছিল পেনশনভোগীদের আধার-ভিত্তিক বায়োমেট্রিক যাচাইয়ের মাধ্যমে ঘরে বসেই জীবন সংশাপত্র সংগ্রহের সুযোগ করে দেওয়া। এখন, এই সুবিধাটি ইপিএফও পেনশনভোগীদের জন্য আরও ব্যাপকভাবে উপলব্ধ হবে। পেনশনভোগীরা তাদের নিকটতম ডাকঘরে গিয়ে অথবা তাদের এলাকার পোস্টম্যান বা গ্রামীণ ডাক সেবকের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের শংসাপত্র জমা দিতে পারবেন।
6
6
পেনশনভোগীদের কেবল তাদের আধার নম্বর এবং পেনশন-সম্পর্কিত বিবরণ প্রদান করতে হবে। ডাক কর্মচারী বা গ্রামীণ ডাক সেবকরা তাদের বাড়িতে গিয়ে মুখের স্বীকৃতি বা আঙুলের ছাপ বায়োমেট্রিক যাচাইয়ের মাধ্যমে ডিজিটাল জীবন সংশাপত্র তৈরি করবেন। এই প্রক্রিয়াটি পেনশনভোগীদের জন্য যেকোনও প্রযুক্তিগত জটিলতা দূর করে।