আজকাল ওয়েবডেস্ক: কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন স্ত্রী। ক্ষোভে সদ্যোজাতকে হাসপাতালেই ফেলে রেখে চলে গিয়েছিলেন পরিবারের লোকেরা। এমনকি ওই শিশুটির মা কেমন আছেন সেই খোঁজও নেননি। এই দশা দেখে একটি ভিডিও তৈরি করেন হাসপাতালেরই এক মহিলা চিকিৎসক। সেই ভিডিওতে সকলের প্রতিক্রিয়া দেখে অবশেষে মন গলে যায় পরিবারের। ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে।
ইনস্টাগ্রামে ডক্টর সুষমার শেয়ার করা ভিডিওটি এখন পর্যন্ত ৩০ লক্ষেরও বেশি ভিউ পেয়েছে। হতাশ হলেও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ সুষমা বলেন যে, একবিংশ শতাব্দীতে বসবাস করা সত্ত্বেও, পরিবারগুলি দ্বিতীয়বার চিন্তা না করেই তাদের মেয়েদের ত্যাগ করছে।
ভিডিওতে তিনি বলছেন, "এই ছোট্ট মেয়েটি গতকাল জন্মগ্রহণ করেছে। সে তার মায়ের দ্বিতীয় জীবিত মেয়ে। তাঁর এক মেয়ে আগেই মারা গিয়েছিল। মোট তিনটি মেয়ের জন্ম দিয়েছে ওই মহিলা। এই কারণে পরিবারটি হতাশ। তাঁর বাবা মাকে ফোন করে খবরও নেননি।"
সুষমা জানিয়েছেন, মা তাঁর তৃতীয় কন্যাসন্তানের জন্ম দেওয়ার পরেই পরিবারটি শিশুটিকে রেখে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সন্তান প্রসবের পর বাবা তাঁর স্ত্রীর খোঁজ নেওয়ার জন্য ফোনও করেননি।
?utm_source=ig_embed&utm_campaign=loading" data-instgrm-version="14">
?utm_source=ig_embed&utm_campaign=loading" target="_blank" rel="noopener">
View this post on Instagram
?utm_source=ig_embed&utm_campaign=loading" target="_blank" rel="noopener">A post shared by Dr Sushma (@drsushmamogri)
তিনি বলেন, "শিশুটির পরিবার তাকে পরিত্যাগ করেছে। একজন ডাক্তার, একজন মা, একজন মেয়ে এবং একজন মহিলা হিসেবে, আমি এটা নিয়ে খুবই হতাশ। মানুষের মানসিকতার অবস্থা এই- ভারতের একজন মহিলা রাষ্ট্রপতি থাকা সত্ত্বেও। আমাদের কাছে সুনিতা উইলিয়ামসের মতো মহিলা আছেন যারা নয় মাসেরও বেশি সময় মহাকাশে কাটিয়েছেন। এই শিশুকন্যাটিও নয় মাসের যাত্রা সম্পন্ন করেছে এবং সেও অসীম ভাগ্য নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছে।"
সুষমার করুণার আবেদনের ভিডিওটি সামনে আসার সঙ্গে সঙ্গে নানা ব্যবহারকারীরা শিশুটিকে দত্তক নেওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন। অনেকে শিশুটিকে প্রাপ্য ভালোবাসা প্রদানের আবেদনও করেছেন। পরিবারের এই কর্মকাণ্ডে বেশ কয়েকজন ব্যবহারকারী ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন, আবার অনেকে ভারতে উন্নত অনাথ আশ্রম ব্যবস্থার জরুরি প্রয়োজনের উপর জোর দিয়েছেন।
এর পরে আরও একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন সুষমা। সেখানে তিনি আশার আলো দেখিয়েছেন। তিনি জানান, শিশুটিকে দত্তক নিতে ইচ্ছুক হাজার হাজার লোকের কাছ থেকে ফোন এবং বার্তা পাওয়ার পর, তিনি নবজাতকের বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাদের মেয়ের প্রতি জনসাধারণের সমর্থন এবং ভালোবাসায় অভিভূত। পরিবার অবশেষে তাদের ভুল বুঝতে পেরেছে।