আজকাল ওয়েবডেস্ক: চোট সারিয়ে ওভাল টেস্টে ফিরেই ১২৯ বছরের এক নজির প্রায় ছুঁয়েই ফেললেন ইংরেজ পেসার গাস অ্যাটকিনসন। প্রথম চার টেস্টে তিনি খেলতে পারেননি চোট ছিল বলে। তবে সিরিজের শেষ টেস্টে ফিরেই নেন পাঁচ উইকেট। তাঁর শিকারের তালিকায় রয়েছে যশস্বী জয়েসওয়াল, ধ্রুব জুরেল, ওয়াশিংটন সুন্দর, মহম্মদ সিরাজ ও প্রসিধ কৃষ্ণা।
ওভাল টেস্টের প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়ায় আপাতত ১৩ টেস্টে গাস অ্যাটকিনসনের উইকেট সংখ্যা দাঁড়াল ৬০। গড় ২১। আর স্ট্রাইক রেট ৩৪.৯। ১২৯ বছরের এক পুরনো রেকর্ড তিনি ভেঙেছেন। আপাতত তিনি বিশ্বের দ্বিতীয় বোলার যিনি টেস্টে ৬০ উইকেট নিয়েছেন ৩৫ স্ট্রাইক রেট এর কমে।
শীর্ষে আছেন ইংরেজ কিংবদন্তি জর্জ লোহম্যান। যিনি টেস্টে ৬০ উইকেট পেয়েছিলেন ৩৪.১ স্ট্রাইক রেটে। ইংল্যান্ডের হয়ে তিনি শেষ টেস্ট খেলেন ১৮৯৬ সালে। দুইয়ে থাকলেন অ্যাটকিনসন। আর তিনে আছেন অস্ট্রেলিয়ান পেসার স্কট বোলান। যিনি ৬০ উইকেট নিয়েছেন ৩৬ স্ট্রাইক রেটে।
এদিকে, ওভাল টেস্ট জমে গেছে। ভারতের ২২৪ রানের জবাবে ইংল্যান্ড শেষ হয়ে গেল ২৪৭ রানে। এগিয়ে থাকা মাত্র ২৩ রানে। যদিও চোটের জন্য ক্রিস ওকস ব্যাট করতে পারেননি।
এটা ঘটনা, ওভাল টেস্টে কামব্যাক করল ভারত। প্রথম ইনিংস ২২৪ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর যেভাবে ইংল্যান্ড শুরু করেছিল। ওভারে ছয়ের উপর রান তুলছিল।
ইংল্যান্ডের প্রথম উইকেট পড়ে ৯২ রানের মাথায়। যখন আউট হন বেন ডাকেট। তিনি ৩৮ বলে ৪৩ করে যান। তাঁকে ফেরান আকাশদীপ। তবে জ্যাক ক্রলি অর্ধশতরান করেছেন। ৫৭ বলে ৬৪ করে তিনি প্রসিধ কৃষ্ণার শিকার। ১২৯/২ থাকা দল বৃষ্টিতে খেলা বন্ধের আগে অবধি তুলেছিল আট উইকেটে ২৪২। ইংরেজরা সাকুল্যে এগিয়ে ছিল ১৮ রানে। বৃষ্টির পর খেলা শুরু হতেই মহম্মদ সিরাজ বোল্ড করে দেন হ্যারি ব্রুককে (৫৩)।
এটা ঘটনা জ্যাক ক্রলি ফিরতেই একের পর এক উইকেট পড়তে থাকে ব্রিটিশদের। অধিনায়ক অলি পোপ (২২), জো রুট (২৯) সেট হয়েও রান পাননি। তবে হ্যারি ব্রুক ৫৩ করে যান। ভারতের হয়ে চারটি করে উইকেট নিয়েছেন মহম্মদ সিরাজ ও প্রসিধ কৃষ্ণা। আকাশদীপের সংগ্রহে একটি।
জবাবে ভারতের সংগ্রহ দিনের শেষে ২ উইকেটে ৭৫। টিম ইন্ডিয়া এই মুহূর্তে এগিয়ে ৫২ রানে। অর্ধশতরান করেছেন যশস্বী।
ওভাল টেস্টে স্লেজিংও হল। ইংল্যান্ডের ইনিংসের শুরু থেকেই বেন ডাকেটের সঙ্গে লেগে গিয়েছিল আকাশদীপের। সেই আকাশদীপের বলেই আউট হয়েছেন ডাকেট। আউট করার পর কি তাঁকে বিদ্রুপ করেছেন আকাশদীপ? যে ভাবে তাঁর গলা জড়িয়ে ধরে তাঁকে আকাশদীপ ‘বিদায়’ জানিয়েছেন তাতে তেমনটাই মনে করছেন ধারাভাষ্যকারেরা। এই কাজের জন্য জরিমানার মুখে পড়তে পারেন বাংলার পেসার।
শুরুটা হয় আকাশদীপের তৃতীয় ওভারে। তাঁর একটা বল ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে মারার চেষ্টা করেন ডাকেট। ব্যাটে–বলে হয়নি। আকাশদীপ ডাকেটের কাছে গিয়ে কিছু একটা বলেন। ডাকেটও জবাব দেন। আকাশদীপের পরের বলেই রিভার্স স্কুপে চার মারেন তিনি।
