আজকাল ওয়েবডেস্ক: সতীর্থের সঙ্গে স্ত্রীর সম্পর্কের জেরে ভেঙে গিয়েছিল ক্রিকেটার দীনেশ কার্তিকের সংসার।
দীনেশ কার্তিক ও নিকিতা বানজারা ছোটবেলার বন্ধু ছিলেন। দুই পরিবারের সম্মতিতে ২০০৭ সালে নিকিতাকে বিয়ে করেন দীনেশ। সেই বিয়ে টিকেছিল মাত্র পাঁচ বছর।
বিয়ে ভাঙার পিছনে ছিলেন কার্তিকের তামিলনাড়ুর সতীর্থ মুরলি বিজয়। তিনিও একসময় টিম ইন্ডিয়ার হয়ে গুটি কয়েক টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন। তবে কার্তিকের মতো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অত সফল নন বিজয়।
প্রসঙ্গত, শুধু নিকিতা বা কার্তিক নন, তাঁদের মা–বাবাদের মধ্যেও ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব ছিল। যখন বিয়ে হয় দু’জনের, কার্তিক টিম ইন্ডিয়ার সদস্য। মুম্বইয়ের এক নামী হোটেলে হয়েছিল বিয়ে। এদিকে বিয়ের কয়েক বছরের মধ্যেই নিকিতার সঙ্গে পরিচয় হয় নিকিতার। পরিচয় পরে প্রেমে পরিণত হয়। যা তামিলনাড়ু রনজি দলের ক্রিকেটাররা জানলেও ঘূণাক্ষরেও জানতে পারেননি দীনেশ। যখন জানতে পারেন সব শেষ। নিকিতা ছিলেন অন্তঃসত্ত্বা। জল্পনা বিজয়ের সন্তান ছিল নিকিতার গর্ভে।
একটি রনজি ম্যাচের আগে বিষয়টি জানতে পারেন কার্তিক। ২০১২ সালে ডিভোর্স হয় দীনেশ ও নিকিতার। তখনও সংবাদমাধ্যম সবটা জানতে পারেনি। জানতে পারে বিচ্ছেদের কয়েক মাস পর। যখন নিকিতা বিয়ে করেন বিজয়কে। শোনা যায়, কোনও একটা আইপিএলের আসরে আলাপ হয়েছিল বিজয় ও নিকিতার। তারপর থেকে চুপচাপ চলছিল পরকীয়া। ২০১২ সালেই বিজয়কে বিযের পর প্রথম সন্তান জন্ম হয় নিকিতার। তারপর আরও এক ছেলে ও মেয়ের মা হন নিকিতা।
এদিকে বিচ্ছেদের পর ২০১৩ সালে কার্তিক বিয়ে করেন স্কোয়াশ খেলোয়াড় দীপিকা পাল্লিকালকে।
