আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ একদিনের দলে নির্ভরযোগ্য ক্রিকেটার। প্রচুর রান করেছেন। আইপিএলেও রান করেছেন ধারাবাহিকভাবে। কিন্তু এশিয়া কাপের দলে ব্রাত্যই থেকে গেলেন শ্রেয়স আইয়ার। নেওয়া হয়নি যশস্বী জয়েসওয়ালকেও। এক জন ২০২৫ আইপিএলে করেছেন ৬০৪ রান। আর যশস্বীর সংগ্রহ ৫৫৯ রান।
দু’‌জনের মিলিত রান ১১৬৩। তার পরেও এশিয়া কাপ টি২০ দলে জায়গা হল না শ্রেয়স ও যশস্বীর।


শ্রেয়স আইয়ারকে দলে না নেওয়ার প্রসঙ্গে নির্বাচক প্রধান অজিত আগরকার বলেন, ‘‌এখানে ওর কোনও দোষ নেই। কাকে বাদ দিয়ে শ্রেয়সকে রাখব? এই মুহূর্তে ওকে সুযোগের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।’ নির্বাচক প্রধানের কথায় যুক্তি থাকলেও আক্ষেপ কম। শ্রেয়সকে না রাখার কারণ অবশ্য অজানাই। তাঁকে আপাতত শুধু ওয়ান ডে ক্রিকেটেই দেখা যাবে, এটুকু প্রায় স্পষ্টই করে দিলেন আগরকার। 


যশস্বীকে তাও স্ট্যান্ড বাই রাখা হয়েছে। কিন্তু শ্রেয়সকে তাও নয়। যশস্বীর না থাকা নিয়ে আগরকার বলেছেন, ‘‌এটা দুর্ভাগ্যজনক যে যশস্বীকে আরও একটু অপেক্ষা করতে হবে। কার জায়গায় সুযোগ দেব বলুন।’‌ 


আর গিলের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে আগরকার বলেছেন, ‘‘ইংল্যান্ডে প্রত্যাশার বাইরে পারফর্ম করেছে শুভমান গিল। ক্যাপ্টেন্সি ভাল। ব্যাট হাতে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছে। বেশ কিছু সিরিজেই ভাইস ক্যাপ্টেন ছিল। অভিষেক শর্মা যেভাবে খেলছে, যশস্বীর জন্য দুর্ভাগ্যজনক হলেও জায়গা দেওয়া যাচ্ছে না। অভিষেক বোলিংটাও করতে পারে। ক্যাপ্টেনের জন্য সেটাও প্রয়োজনীয়।’


এদিকে, মঙ্গলবার এশিয়া কাপের দল ঘোষণা হল। নজরে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সেই দিকে লক্ষ্য রেখেই নির্বাচকরা এশিয়া কাপের দল বেছে নিলেন মঙ্গলবার। সূর্যকুমার যাদব দলের অধিনায়ক। শুভমান গিল দলের ভাইস ক্যাপ্টেন। এবারের এশিয়া কাপ হচ্ছে টি–টোয়েন্টি ফরম্যাটে। ভারতের অভিযান শুরু ১০ সেপ্টেম্বর। ১৪ সেপ্টেম্বর ভারত–পাক মহারণ। 

 

আরও পড়ুন:‌ জাতীয় দলে ফেরাই লক্ষ্য, গম্ভীরের পরামর্শে এগিয়ে যেতে চান এই ভারতীয় পেসার...


শুভমান গিলকে নিয়ে চর্চা চলছিল। তিনি কি এশিয়া কাপের দলে ঢুকবেন? এ নিয়ে তীব্র আলোচনা চলছিল। ইংল্যান্ডের মাটিতে শুভমান গিলের নেতৃত্বে ভারত টেস্ট সিরিজে সমতা ফিরিয়ে দেশে ফিরেছে। এরপরে শুভমান গিলকে এশিয়া কাপে বাইরে রাখা সম্ভব ছিল না। 


এশিয়া কাপে ভারতীয় দলের হয়ে ওপেন করবেন অভিষেক শর্মা ও সঞ্জু স্যামসন। অভিষেক শর্মা এই মুহূর্তে টি–টোয়েন্টি ফরম্যাটে একনম্বর ব্যাটসম্যান। তাঁর সঙ্গে ওপেন করতে দেখা যাবে সঞ্জু স্যামসনকে। যে সঞ্জু টি–টোয়েন্টি ফরম্যাটে তিনটি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। তিন ও চারে তিলক ভার্মা ও সূর্যকুমার যাদব। দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে অধিনায়ক সূর্যর কাছে আব্দার করেছিলেন তিলক, তাঁকে যেন তিন নম্বরে পাঠানো হয়। সূর্য জায়গা ছেড়ে দিয়েছিলেন তিলক ভার্মাকে। বাকিটা ইতিহাস। দুর্দান্ত খেলেছিলেন তিলক ভার্মা।

অভিজ্ঞতা এবং কার্যকারিতার দিক থেকে বিচার করলে হার্দিক পাণ্ডিয়া যে কোনও দলের সম্পদ। আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে নেতৃত্ব দেওয়ার দক্ষতা রয়েছে তাঁর। তার উপরে বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাটিংয়ের হাতও দুর্দান্ত পাণ্ডিয়ার। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হার্দিক পাণ্ডিয়ার পারফরম্যান্সের কথা কে ভুলতে পারে!