আজকাল ওয়েবডেস্ক: জাতীয় ক্রীড়া বিল নিয়ে দীর্ঘ টালবাহানা চলছে। তবে এই বিল পাশ হয়ে আইনে পরিণত হলে অনেকটাই সহজ হবে ভারতীয় বোর্ড প্রেসিডেন্ট–সহ অন্যান্য পদাধিকারী হওয়ার আইন। এটা অবশ্য স্পষ্ট যে আগামী দিনে জাতীয় ক্রীড়া বিল আইনে পরিণত হয়ে গেলে দেশের খেলাধুলোর পরিকাঠামো অনেকটাই বদলে যাবে। সঙ্গে প্রশাসনিক পরিকাঠামোতেও যুগান্তকারী বদল আসবে।
এটা ঘটনা, ইতিমধ্যে প্রস্তাবিত জাতীয় ক্রীড়া বিলে দু’টো সংশোধনও হয়ে গিয়েছে।
১) ভারত সরকার থেকে যে সমস্ত সংস্থা অনুদান বা আর্থিক সাহায্য নেবে, তারাই শুধুমাত্র ‘রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্ট’ বা আরটিআই–এর আওতায় আসবে। কিন্তু যে সমস্ত সংস্থা ভারত সরকারের অনুদান নেবে না, তাদের আরটিআই–এর আওতায় পড়ার কোনও ব্যাপারও নেই।
২) জাতীয় ক্রীড়া সংস্থার প্রেসিডেন্ট, সেক্রেটারি জেনারেল বা কোষাধ্যক্ষ হতে গেলে এখন তিনটে রাস্তা খোলা পদপ্রার্থীর সামনে। হয় ‘স্পোর্টসপার্সন অফ আউটস্ট্যান্ডিং মেরিট’ হতে হবে তাঁকে। কিংবা জাতীয় ক্রীড়া সংস্থার এক্সিকিউটিভ কমিটিতে ন্যূনতম একটা টার্ম পূর্ণ করতে হবে। বা নিজ রাজ্যের অনুমোদিত সংস্থার প্রেসিডেন্ট, সেক্রেটারি জেনারেল বা কোষাধ্যক্ষ হতে হবে।
জাতীয় ক্রীড়া বিলে এই দুটি সংশোধনের পর রীতিমতো নড়েচড়ে বসেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। তবে বিসিসিআই রয়েছে স্বস্তিতে। কারণ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে আরটিআই–এর আওতায় পড়তে হচ্ছে না। তা ছাড়া ভারতীয় বোর্ডের পদাধিকারী হওয়ার রাস্তা তুলনায় সহজতর হয়ে পড়ছে এই সংশোধনের ফলে। কারণ, প্রস্তাবিত বিলে জাতীয় ক্রীড়া সংস্থার পদাধিকারী হতে গেলে এক্সিকিউটিভ কমিটিতে দু’টো টার্ম থাকার ব্যাপার ছিল। কিন্তু সংশোধনের পর এখন সেটা বদলে গিয়ে দু’টোর বদলে একটা টার্ম হচ্ছে। সবচেয়ে বড় কথা, সেটা না থাকলেও চলবে। নিজের রাজ্য সংস্থার প্রেসিডেন্ট, সেক্রেটারি জেনারেল বা কোষাধ্যক্ষ হলেও চলবে।
আরও পড়ুন: বড় সিদ্ধান্ত পাক ক্রিকেট বোর্ডের, একধাক্কায় অনেকটাই বাড়ল মহিলা ক্রিকেটারদের বেতন...
এদিকে, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড আপাতত বুমরার ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট নিয়ে চিন্তায়। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের কঠিন সিরিজের মধ্যে তিনটেতে খেলেন তারকা পেসার। এরপর এশিয়া কাপ। কিন্তু সেই টুর্নামেন্টে অনিশ্চিত বুমরা। রিপোর্ট অনুযায়ী, ভবিষ্যতে গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ এবং ম্যাচের কথা ভেবে এবার তারকা পেসারকে সব সিরিজে খেলানো হবে না। তাঁকে যথাসম্ভব বেশি বিশ্রাম দেওয়ার পক্ষপাতি ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। একটি সর্বভারতীয় সংবাদসংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী তেমনই জানা যাচ্ছে। সর্বোচ্চ স্তরে তাঁর কেরিয়ার দীর্ঘমেয়াদী করতেই এই সিদ্ধান্ত। বিশেষ করে আইসিসি টুর্নামেন্টে এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সিরিজে তাঁকে খেলাতে চায় ভারতীয় থিঙ্কট্যাঙ্ক। পরের বছর মার্চ এবং এপ্রিলে ঘরের মাঠে টি-২০ বিশ্বকাপ। সেটাই লক্ষ্য ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের। সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের বিশ্বকাপের জন্য তাঁকে ফিট রাখতে চায়।
চলতি বছরের শুরুতে পিঠে অস্ত্রোপচার হয় বুমরার। যার ফলে দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে থাকতে হয় তাঁকে। আইপিএলের একটা অংশে ছিলেন না। তারপর ইংল্যান্ড সিরিজের আগে অজিত আগরকর এবং গৌতম গম্ভীর স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তাঁকে তিনটে টেস্টে খেলানো হবে। কাকতালীয়ভাবে, ইংল্যান্ডে যে দুটো টেস্টে বুমরা খেলেনি, সেই দুটো টেস্টই জিতেছে ভারত। এটাই ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টকে আরও সাহস যোগাচ্ছে।
