আজকাল ওয়েবডেস্ক: দাঁড়ি রাখা না রাখা—এই তুচ্ছ কারণেই ভেঙে গেল সাত মাসের বৈবাহিক সম্পর্ক। শুধু তাই নয়, অভিযোগ, স্বামীকে ছেড়ে দাড়িহীন দেওরের সঙ্গে গা-ঢাকা দিয়েছেন স্ত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মিরাটে। ইতিমধ্যেই ঘটনাটি ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
মিরাটের উজ্জ্বল গার্ডেন কলোনির বাসিন্দা মৌলানা শাকিরের অভিযোগ, তাঁর স্ত্রী আরশি তাঁকে বারবার দাড়ি কাটতে বলেছিলেন। তবে শাকিরের দাবি, ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে তিনি মুখমণ্ডলে কাঁচি ছোঁয়াতে রাজি হননি। এ নিয়েই দীর্ঘদিন ধরে চলছিল দাম্পত্যে অশান্তি। শেষে সেই অশান্তির জেরেই ঘর ছেড়েছেন বধূ।
মাত্র সাত মাস আগে বিয়ে হয় শাকির ও আরশির। দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করা আরশি বর্তমানে উচ্চশিক্ষার পাঠ নিচ্ছিলেন। বিয়ের পর থেকেই স্বামীকে দাড়ি কেটে ক্লিন শেভড হতে জোরাজুরি করেন আরশি। এই প্রসঙ্গে একটি হিন্দি সংবাদসংস্থাকে শাকির বলেন, “আমার ধর্মবিশ্বাস অনুযায়ী দাড়ি রাখা ফরজ। কিন্তু আরশি তা মানতে রাজি ছিল না। বারবার আমাকে চাপ দিত।”
এই দাড়িকে কেন্দ্র করেই দাম্পত্য কলহ চরমে ওঠে। অভিযোগ আরশি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, এই বিয়ে তাঁর সম্মতিতে হয়নি, এবং শাকির দাড়ি না কাটলে তিনি আর এই সম্পর্ক রাখতে পারবেন না। এই দ্বন্দ্বের মাঝেই, আরশির ঘনিষ্ঠতা বাড়ে শাকিরের ছোট ভাইয়ের সঙ্গে। ঘটনাক্রমে শাকিরের ভাই দাড়িহীন। অভিযোগ ওই যুবকের সঙ্গেই গৃহত্যাগ করেন আরশি। নিখোঁজ হয়ে যান দু’জনেই। আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনও খোঁজ না পেয়ে, থানায় নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের করেন শাকির।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন এসপি সিটি আয়ুষ বিক্রম সিং। তাঁর বক্তব্য, “এক ব্যক্তি অভিযোগ করেছেন, তাঁর স্ত্রী তাঁর ছোট ভাইয়ের সঙ্গে পালিয়েছেন। আমরা নিখোঁজ হওয়ার রিপোর্ট নিয়েছি। তদন্ত চলছে, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” আরশির পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে জানা যায়, তাঁরা মেয়ের এই সিদ্ধান্তে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। ইতিমধ্যেই তাঁরা আরশির সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন বলে জানিয়েছেন।