শীতের মরশুম অনেকের কাছেই বছরের সবচেয়ে আরামদায়ক সময়। তবে এই কয়েক মাস শরীরের উপর বেশ চাপও তৈরি হয়। ঠান্ডা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং শক্তি কমিয়ে দিতে পারে। দিন ছোট হওয়া ও রাত বড় হওয়ার ফলে পুষ্টির চাহিদাতেও বড় পরিবর্তন আসে। শরীর চায় এমন খাবার, যা গরম রাখার পাশাপাশি সর্দি–কাশি–ফ্লু-সহ মরশুমি অসুখ-বিসুখের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। এখানেই ‘উইন্টার সুপারফুড’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়।

শীতে কোন কোন সুপারফুড রাখতে হবে তালিকায়? 

ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর খাবার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সহায়তা করে। দেখে নেওয়া যাক কোনগুলো শীতের সেরা সুপারফুড।

শীতের সেরা সুপারফুড

মিষ্টি আলু
মিষ্টি আলু বা সুইট পটেটো শীতের রোজকার বাজারে সহজেই পাওয়া যায় এবং বহু মানুষের প্রথম পছন্দ। এতে রয়েছে প্রচুর ফাইবার, ভিটামিন এ ও পটাশিয়াম। ডা. সিদ্ধান্ত ভরদ্বাজের মতে, নিয়মিত মিষ্টি আলু খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য কমে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, এমনকি শরীরের প্রদাহও কমাতে পারে। একটি মিষ্টি আলু থেকেই দিনের প্রয়োজনীয় বিটা-ক্যারোটিন মেলে বলে তিনি জানিয়েছেন।

ঘি
বিশুদ্ধ ঘি শীতের সময়ে অত্যন্ত উপকারী। সহজে হজম হয়। শরীরে উষ্ণতা এবং শক্তি জোগায়। এতে ত্বকও শুষ্ক বা খসখসে হওয়ার আশঙ্কা কমে। রুটি, ডাল বা তরকারিতে সামান্য ঘি দিলে স্বাদ বাড়ে।

গাজর
গাজর সমৃদ্ধ বিটা–ক্যারোটিনে, যা শরীরে ভিটামিন এ–তে রূপান্তরিত হয়। সুস্থ ত্বক এবং শরীরের রক্ষাকারী শ্লেষ্মা ঝিল্লি ভাল রাখতে এটি অপরিহার্য। গাজরে থাকা লাইকোপিন শরীরের প্রদাহ কমায়। শীতে কাঁচা গাজর জলখাবারে খাওয়া যায়, গাজর–আদার জুস বানিয়েও খাওয়া যেতে পারে।

পাতাযুক্ত শাকসবজি
পালং, ব্রকলি বা অন্যান্য সবুজ শাকসবজি শীতের সেরা সঙ্গী হতে পারে। এগুলোতে রয়েছে ভিটামিন ই এবং ফোলেট, যা রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। পালং বা সজনে পাতা আয়রন ও ভিটামিন কে–তে সমৃদ্ধ, যা শক্তিশালী অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে।

বাজরা
বাজরা শরীরকে ভিতর থেকে উষ্ণ রাখে এবং এটি খেলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকে। এতে থাকা আয়রন এবং ফাইবার শক্তি, হজম ও রক্ত সঞ্চালনের জন্য উপকারী। শীতকালে গমের রুটির বদলে বাজরার রুটি খাওয়া যায়। উপরে ঘি দিলে স্বাদ বাড়ে। অনেকেই শীতে বাজরার খিচুড়িও খেয়ে থাকেন।