আজকাল ওয়েবডেস্ক: ঘটি-বাটি একসঙ্গে থাকলে ঠোকাঠুকি লাগবেই। একইভাবে দাম্পত্য থাকলে, থাকবে দাম্পত্য কলহও। কিন্তু সেই ঝগড়া বিবাদ যেন কখনও পারস্পরিক সম্মান এবং ভক্তি-শ্রদ্ধার ঊর্ধ্বে না উঠে যায়, মাথায় রাখতে হবে সে কথাও। স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া হাতের বাইরে বেরিয়ে গেলে গার্হস্থ্য হিংসা কোন পর্যায়ে পৌঁছতে পারে তার সাম্প্রতিক এক নিদর্শন মিলল বিহারের গয়ায়। ঝগড়া করতে করতে রাগের বশে নিজের স্বামীর জিভেই কামড়ে দিলেন স্ত্রী। আক্রান্ত স্বামীর নাম ছোটে দাস। গয়ার খিজরসরাই এলাকার বাসিন্দা তিনি।
আরও পড়ুন: ১২ কেজির বিশাল স্তন! ফিট হয় না কোনও জামা! কেন এমন হল? তরুণীর কষ্ট শুনলে চোখে জল আসবে
প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী ঘটনার দিন সন্ধ্যেবেলা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাদ শুরু হয়। প্রাথমিকভাবে তেমন বড় কিছু মনে না হলেও ক্রমশই চড়তে থাকে বিবাদের পারদ। শেষ পর্যন্ত সেই কলহ এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে ছোটের স্ত্রী মারাত্মক রেগে যান এবং ছোটেকে আক্রমণ করে তার জিভে জোরালো কামড় বসান। শুধু কামড়ে দিয়েই ক্ষান্ত থাকেননি তিনি, আক্রান্তের জিভের একাংশ ছিঁড়ে নিয়ে চিবিয়ে গিলেও ফেলেন বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: ১২ কেজির বিশাল স্তন! ফিট হয় না কোনও জামা! কেন এমন হল? তরুণীর কষ্ট শুনলে চোখে জল আসবে
ঘটনার পরেই আক্রান্ত যুবকের জীব থেকে প্রবল রক্তপাত শুরু হয়। পাড়া-প্রতিবেশী এবং পরিবারের লোকজন তাকে তড়িঘড়ি স্থানীয় প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যান। কিন্তু ছোটের চোট এতই গুরুতর ছিল যে খিজরসরাই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তার সম্পূর্ণ চিকিৎসা সম্ভব হয়নি। সেখান থেকে তাঁকে মগজ মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়।
আরও পড়ুন: ১২ কেজির বিশাল স্তন! ফিট হয় না কোনও জামা! কেন এমন হল? তরুণীর কষ্ট শুনলে চোখে জল আসবে
খিজরসরাই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মেডিক্যাল অফিসার মিনা রাই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, “রাত্রিবেলা একজন রোগীকে এখানে নিয়ে আসা হয়। আমরা জানতে পারি রোগীর স্ত্রী তাঁর জিভে কামড়ে দিয়েছেন। এখানে প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়। কিন্তু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় আমরা শেষ পর্যন্ত তাঁকে মগধ মেডিকেল কলেজের রেফার করে দিই।” হাসপাতালে কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান ওই রক্তাক্ত অবস্থাতেও স্বামী-স্ত্রী কিন্তু ঝগড়া চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
তবে ঝগড়াঝাটি চললেও থানায় এই বিষয়ে কোন অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। খিজরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক রঞ্জন কুমার বলেন, “আমরা এই ধরনের কোন অভিযোগ এখনও পর্যন্ত পাইনি। যদি অভিযোগ পাই তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

প্রসঙ্গত এই ধরনের ঘটনা এই প্রথম নয়, কয়েক মাস আগেই ঠিক একই রকম একটি ঘটনা প্রকাশ্যে আসে রাজস্থানে। সেখানেও ঝগড়ার সময় রাগের বশে স্বামীর জিভ কামড়ে ছিঁড়ে ফেলেছিলেন স্ত্রী। তবে সেক্ষেত্রে নিজেই বিবেকের দংশনে নিজেকে একটি ঘরে বন্ধ করে ফেলেন অভিযুক্ত মহিলা। এমনকী আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলেও খবর। কিন্তু শেষ পর্যন্ত স্বামী এবং পরিবারের লোকজন মিলে বুঝিয়ে-শুনিয়ে শান্ত করা হয় তাঁকে।