আজকাল ওয়েবডেস্ক: বড়দিনকে কেন্দ্র করে বিশ্বজুড়ে বছরের শেষ সময়ে উৎসবমুখর পরিবেশ। ২৫ ডিসেম্বর গোটা বিশ্বে যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন পালিত হয়। এটি অন্যতম বৃহত্তম একটি ধর্মীয় উৎসব। বিভিন্ন ধরনের মানুষের মেলামেশা, খাবার তৈরি, ক্রিসমাস ট্রি সাজানো এবং পার্টিতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে উদযাপিত হয়।

উৎসব শুরু হয় বড়দিনের আগের রাতে অর্থাৎ ২৪ ডিসেম্বর। কিন্তু এই দিনে সকলেই একে অপরকে ‘হ্যাপি ক্রিসমাস’ না বলে ‘মেরি ক্রিসমাস’ বলে শুভেচ্ছা জানান। এই ধরনের শব্দচয়নের কারণ হল, আমরা নতুন বছর, ছুটি, জন্মদিন এবং বিবাহবার্ষিকীর মতো অনুষ্ঠানে প্রায়ই ‘হ্যাপি’ শব্দটি ব্যবহার করে। কিন্তু বড়দিনের ক্ষেত্রে ‘হ্যাপি’-র পরিবর্তে ‘মেরি’ শব্দটি ব্যবহার করি। 

বড়দিনকে ‘হ্যাপি ক্রিসমাস’ না বলে ‘মেরি ক্রিসমাস’ বলে শুভেচ্ছা জানানোর কারণটি শত শত বছর ধরে চলে আসা একটি প্রথার মধ্যে লুকিয়ে আছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, ‘মেরি ক্রিসমাস’ বড়দিন উদযাপনের একটি আবেগপূর্ণ ও অসংযত ভাব প্রকাশ করে। অন্যদিকে,  ‘হ্যাপি ক্রিসমাস’ একটি রক্ষণশীল ও সংযত উদযাপনকে বোঝায়।

ঐতিহাসিক ও ভাষাগত কারণে ‘হ্যাপি ক্রিসমাস’-এর পরিবর্তে ‘মেরি ক্রিসমাস’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ‘মেরি’ শব্দটির মূল অর্থ ছিল প্রফুল্ল, প্রাণবন্ত বা আনন্দে পরিপূর্ণ, যা বড়দিনের উৎসবের আমেজকে সঠিক ভাবে বর্ণনা করে। এই শুভেচ্ছাটি ষোড়শ শতাব্দীতে ইংল্যান্ডে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এবং চার্লস ডিকেন্সের ‘এ ক্রিসমাস ক্যারল’-এর মতো সাহিত্যে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়েছিল। যা এটিকে জনপ্রিয় সংস্কৃতিতে প্রতিষ্ঠিত করতে সাহায্য করে।

যদিও ‘হ্যাপি’ শব্দটিও শুভেচ্ছা প্রকাশ করতে ব্যবহৃত হয়। তবে, ‘মেরি’ শব্দটি উষ্ণতা, উদযাপন এবং সম্মিলিত আনন্দের একটি অনুভূতি প্রকাশ করে যা বড়দিনের সঙ্গে খাপ খেয়ে যায়। মজার ব্যাপার হল, ব্রিটেন-সহ কিছু দেশে ‘মেরি ক্রিসমাস’ এবং ‘হ্যাপি ক্রিসমাস’ উভয়ই ব্যবহৃত হয়। তবে, ‘মেরি’ শব্দটিই ঐতিহ্যবাহী এবং বিশ্বব্যাপী ব্যাপকভাবে স্বীকৃত।