২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি সাধারণ কোনও দিনের মতো নয়, এমনটাই বিশ্বাস করছেন সংখ্যাতত্ত্ব ও আধ্যাত্মিক চর্চায় বিশ্বাসীরা। কারণ এই বছরে সংখ্যার যোগফল দাঁড়াচ্ছে ২+০+২+৬=১০ অর্থাৎ ১।
2
10
সংখ্যাতত্ত্ব অনুযায়ী, ১ হল নতুন শুরুর সংখ্যা। নেতৃত্ব, আত্মবিশ্বাস, ভাগ্য পরিবর্তন এবং জীবনের নতুন দিশা-সবকিছুর প্রতীক এই সংখ্যা।
3
10
বিশেষজ্ঞদের মতে, ১ জানুয়ারি ২০২৬ দুপুর ১টা ১১ মিনিটে তৈরি হবে এক বিরল শক্তিশালী সময়। সেই মুহূর্তে করা সংকল্প বা ইচ্ছা খুব দ্রুত বাস্তবায়িত হবে। তাই এই সময়টিকে কাজে লাগাতে জানলে জীবনে বড় পরিবর্তন আসতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
4
10
কী করবেন এই বিশেষ সময়ে? এই আচারটি খুবই সহজ, কিন্তু বিশ্বাস ও মনোযোগ থাকাটা সবচেয়ে জরুরি।
5
10
প্রথমে একটি পরিষ্কার তেজপাতা নিন। তেজপাতা সমৃদ্ধি, সাফল্য ও ইতিবাচক শক্তির প্রতীক হিসেবে ধরা হয়। একটি সবুজ রঙের পেন দিয়ে তেজপাতার উপর আপনার মনের একটিমাত্র ইচ্ছা লিখুন। সবুজ রং উন্নতি, বৃদ্ধি ও আশার প্রতীক। ইচ্ছাটি যেন পরিষ্কার ও ইতিবাচক হয়।
6
10
এবার তেজপাতার উপর সামান্য গুড় দিন এবং গরুর ঘি লাগান। গুড় জীবনের মিষ্টতা আর ঘি পবিত্রতা ও শুভ শক্তির প্রতীক।
7
10
ওই তেজপাতাটি একটি ছোট পাত্রে ঘরের পূর্ব দিকে রাখুন। পূর্ব দিক সূর্যোদয় ও নতুন শুরুর দিক বলে মনে করা হয়। যদি ঘরের বাইরে জায়গা না থাকে, তাহলে ইনডোর প্ল্যান্টের টবেও এটি রাখতে পারেন।
8
10
প্রতি রবিবার বা সপ্তাহে অন্তত একদিন সূর্যের কথা মনে করে ওই পাত্রে সামান্য জল দিন। জল দেওয়ার সময় মনে মনে বা ধীরে আপনার সেই ইচ্ছার কথা বলুন।
9
10
বিশ্বাস করা হয়, এই প্রক্রিয়াটি করলে শুধু একটি ইচ্ছাই নয়, জীবনের নানা দিক যেমন কেরিয়ার, অর্থ, সম্পর্ক ও মানসিক শান্তি-সব কিছুর পথ খুলতে শুরু করে। ২০২৬ ধীরে ধীরে আপনাকে সঠিক দিশা দেখাবে।
10
10
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, এই আচার কাজ করে বিশ্বাস, ধৈর্য আর ইতিবাচক মনোভাবের মাধ্যমে। মন থেকে চাইলে আর নিজের লক্ষ্য ঠিক রাখলে, ২০২৬ হতে পারে আপনার জীবনের সবচেয়ে পরিবর্তনশীল বছর।