আজকাল ওয়েবডেস্কঃ অলৌকিক, অশুভ কিংবা ভৌতিক এই ধরনের সব কিছুর সঙ্গেই কালো বিড়ালের যোগ রয়েছে! সেই কোন যুগ থেকে কালো বিড়ালকে অশুভ মানা হয়। আজও আশপাশে কালো বিড়াল দেখলে অনেকেই এড়িয়ে যান। কালো বিড়াল রাস্তা পার হলে গাড়ি থামিয়ে দেন চালক, পথচলতি মানুষও খানিকক্ষণ অপেক্ষা করে পার হন রাস্তা! কিন্তু জানেন কি, কেন কালো বিড়ালকে অশুভ বলে মনে করা হয়?
কালো বিড়াল অশুভ মানার পিছনে বহু কথিত বিশ্বাস রয়েছে। ৩০০০ খ্রিস্ট পূর্বাব্দে ইজিপ্সিয়ানরা বিশ্বাস করতেন, কালো বিড়ালের মধ্যে কিছু আধ্যাত্মিক শক্তি রয়েছে। তাই ওই সম্প্রদায়ের মানুষেরা কালো বিড়ালকে পুজো করতেন। পরবর্তীকালে ইউরোপে এর অর্থ বদলে যায়। ১৫৬০ সালে ইউরোপের বিভিন্ন উপকথায় কালো বিড়ালকে অশুভ হিসাবে দেখানোর চল শুরু হয়। ধীরে ধীরে মানুষের মধ্যে বিশ্বাস জন্মায়, সত্যিই হয়তো কালো বিড়ালের মধ্যে কোনও অশুভ শক্তি রয়েছে।
কালো বিড়াল নিয়ে রহস্যের শেষ নেই। সমাজে এমন ধারণা প্রচলিত রয়েছে যে, কোনও শুভ কাজে যাত্রা করার সময় যাত্রাপথে কালো বিড়ালের দেখা পেলে তা অশুভ ইঙ্গিত বহন করে। এই বিশ্বাস এতটাই মানুষের মনে গেঁথে রয়েছে যে অনেকে রাস্তা দিয়ে বিড়াল পার হলে গন্তব্যস্থলে না গিয়ে বাড়ি ফিরে যান, অথবা কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে আবার যাত্রা শুরু করেন। এতে নাকি দোষ ‘কাটা’ যায়। আবার কেউ কেউ কালো বিড়ালকে প্রেতাত্মা যুগের প্রতিনিধি বলে মনে করেন।
আসলে বিড়াল জাতীয় ছোট প্রাণীদের সাধারণত অন্য বড় প্রাণী বা মানুষ তাড়া করে। এর ফলে তারা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ছোটাছুটি করে। তাই বিড়াল রাস্তা পার করার পর একটু দাঁড়িয়ে গেলে ওই প্রাণী বা মানুষের সঙ্গে ধাক্কা লাগার আশঙ্কা কমে যায়৷ সেখান থেকেই শুরু হয় বিড়াল রাস্তা পার করলে দাঁড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা। সর্বশেষে একথা বলতেই হয়, কালো বিড়ালকে অশুভ মনে করার সাপেক্ষে কোনও প্রমাণিত তথ্য নেই। তাই বিড়ালের কালো রং-এর সঙ্গে অশুভ কিংবা অপয়া হওয়ার কোনও যোগ নেই।
