আজকাল ওয়েবডেস্ক: শরীরের পক্ষে গ্রিন টি বেশ উপকারী। বিশেষ করে মেদ ঝরাতে চাইলে গ্রিন-টিতে ভরসা রাখেন অনেকে। নিয়ম মেনে গ্রিন টি খেলে ক্যানসার, অ্যালজাইমার্স, স্ট্রোক ও ডায়াবিটিসের ঝুঁকি কমে। এমনকী ত্বকে বয়সের ছাপ ঠেকিয়ে রাখতেও গ্রিন টি-র জুড়ি মেলা ভার। তাই বলে সারাদিন ঘন ঘন গ্রিন টি-তে চুমুক দেওয়া কী ঠিক? এতে কি আদৌ কোনও লাভ হয়! সঠিক উপকার পেতে কখন গ্রিন টি খাওয়া উচিত,জেনে নেওয়া যাক।
গ্রিন টি কীভাবে, কতটা এবং ঠিক কোন সময় খাওয়া উচিত, সেব্যাপারে অনেকেরই স্পষ্ট ধারণা নেই। বিশেষ করে অনেকেই খালি পেটে গ্রিন টি খান। যা মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরই চা খেলে শরীরে ডিহাইড্রেশন,গ্যাস্ট্রিক আলসারের সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাই বিশেষজ্ঞরা বলেন, সকালে কিছু স্বাস্থ্যকর জলখাবার খাওয়ার পর গ্রিন টি খাওয়া যেতে পারে। অনেকে আবার দুপুরে খাওয়ার পরই কিংবা তার আগে গ্রিন টি খান। এতেও খুব বেশি উপকার মেলে না।
বিশেষজ্ঞদের মতে, গ্রিন টি দুটি ভারী খাবারের মাঝখানের বিরতিতেই খাওয়া উচিত। সবচেয়ে বেশি উপকার পেতে হলে কোনও ভারী খাবার খাওয়ার ২ ঘণ্টা আগে কিংবা ২ ঘণ্টা পরে গ্রিন টি খেতে পারেন।
আসলে চায়ে ক্যাফিন ও ক্যাটেচিন ভাল মাত্রায় থাকে। আর এই যৌগগুলি বিপাকহার বাড়াতে সাহায্য করে। তাই ওজন ঝরানোর জন্য গ্রিন টি খেতে হলে না পেটে না খাওয়াই শ্রেয়। সেক্ষেত্রে রাতে ঘুমানোর ঘণ্টা দু’য়েক আগেও গ্রিন টি খেতে পারেন। আবার ব্যায়াম করার আধ ঘণ্টা আগে গ্রিন টি খেলে উপকার পাবেন।
গ্রিন টি-তে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট যেমন থাকে, তেমনই কিন্তু ক্যাফিনও থাকে। বেশি গ্রিন টি খেলে অনিদ্রার সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকি, শরীরের অতি প্রয়োজনীয় পদার্থগুলিও বেরিয়ে যেতে পারে। তাই দিনে ৩-৫ বার গ্রিন টি খেতে পারেন, তবে তার বেশি নয়।
