৩০ পেরিয়ে সামান্থার মতো চকচকে নিখুঁত ত্বক পেতে চান! ভরসা রাখুন শুধু একটি জিনিসে, কী জেনে নিন
নিজস্ব সংবাদদাতা
১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৫ : ২৭
শেয়ার করুন
সামান্থা রুথ প্রভুর শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যে এসেছে এক প্রশংসনীয় পরিবর্তন। নিয়মিত ওয়ার্কআউট এবং সুষম খাদ্যাভ্যাসের পাশাপাশি তিনি ত্বকের যত্নেও রাখেন বিশেষ মনোযোগ। তবে অসংখ্য প্রোডাক্টের পিছনে না ছুটে, এখন তিনি ভরসা করেন কেবলমাত্র কয়েকটি কার্যকরী প্রোডাক্টের উপর।
এক সাক্ষাৎকারে সামান্থা খোলাখুলি বলেন, “আগে আমি বেশ দীর্ঘ স্কিনকেয়ার রুটিন মেনে চলতাম। পরে বুঝেছি, আসলে কমটাই বেশি। যে ক’টা প্রোডাক্ট সত্যিই আপনার জন্য কাজ করে, শুধু সেগুলো ব্যবহার করাই যথেষ্ট। ট্রেন্ড আসে-যায়, কিন্তু কিছু প্রোডাক্টই সময়ের পরীক্ষায় টিকে থাকে। তাই সাত-আট ধাপের ঝক্কি পোহানোর দরকার নেই, কয়েকটি ভাল প্রোডাক্টই যথেষ্ট ফল দেয়।”
নিজের অপরিহার্য স্কিনকেয়ার প্রোডাক্টগুলির প্রসঙ্গে সামান্থা জানান, “আমার বয়সের কারণে আমি অবশ্যই রেটিনল ব্যবহার করি। তবে তরুণ ত্বকের এর প্রয়োজন নেই। সানস্ক্রিন তো অবশ্যই লাগবে, আর সঙ্গে একটি ভাল সিরাম।”
?utm_source=ig_embed&utm_campaign=loading" target="_blank" rel="noopener">A post shared by Samantha (@samantharuthprabhuoffl)
সামান্থা সাপ্লিমেন্টস নিয়েও সচেতন। তবে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, এটা একেবারেই ব্যক্তিগত পছন্দ এবং প্রত্যেকের শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী গ্রহণ করা উচিত। তাঁর পরামর্শ,“যদি সাপ্লিমেন্ট নেওয়া শুরু করতে চান, তবে স বসময় নিশ্চিত করুন যে এগুলো থার্ড-পার্টি টেস্টেড। তারপরই কিনবেন।”
অভিনেত্রী তাঁর সকালের রুটিনও শেয়ার করেছেন, যেটি কিছুটা ‘অতিরিক্ত’ বলে তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে, একটি গ্র্যাটিটিউড জার্নাল (কোন কোন জিনিসের জন্য আপনি কৃতজ্ঞ, তা ডায়েরিতে লেখা) লেখা দিয়ে দিন শুরু করা, সকালের রোদে কিছুটা সময় কাটানো, এবং মেডিটেশন, যা তাঁর মতে সারা দিনের জন্য সঠিক মানসিক ছন্দ তৈরি করে দেয়। তবে তিনি এটাও যোগ করেন যে, সকালের রুটিন খুব জটিল হওয়ার প্রয়োজন নেই। কয়েকটি সহজ কাজও দিনের শুরুটা সুন্দর করে তুলতে পারে।
সামান্থা ব্ল্যাক কফি ভীষণ ভালবাসেন। এছাড়াও তাঁর স্মুদিও নানা প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণে ভরপুর। তবে দিনের শুরুতে একটি দক্ষিণ ভারতীয় ব্রেকফাস্ট ছাড়া তিনি একেবারেই চলতে পারেন না। নিজেই জানিয়েছেন, “আমার সবচেয়ে প্রিয় ব্রেকফাস্টে থাকে দোসা, ইডলি, সাম্বার আর নারকেলের চাটনি।”
ফিটনেসের ক্ষেত্রে এখন তিনি মনোযোগী পাওয়ারলিফটিং-এ। প্রায়ই ইনস্টাগ্রামে ওয়ার্কআউটের ভিডিও শেয়ার করেন তিনি, যাতে মানুষ নিজেদের শারীরিক সুস্থতার দায়িত্ব নিতে অনুপ্রাণিত হন।
সামান্থার জীবনযাপন প্রমাণ করে যে শৃঙ্খলা, সচেতনতা আর ইতিবাচক মানসিকতা শরীর ঠিক রাখতে বড় ভূমিকা পালন করে। জটিল রোগ কাটিয়ে ওঠার পর তিনি আরও বেশি করে নিজের যত্নের দিকে নজর দিয়েছেন। অভিনেত্রী যত্নশীল খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম আর মানসিক সুস্থতার প্রতি অঙ্গীকার শুধু তাঁকেই নয়, অসংখ্য মানুষকে অনুপ্রাণিত করে। সামান্থার যাত্রা মনে করিয়ে দেয়, সুস্থতা আসলে কোনও বিলাসিতা নয়, বরং প্রতিদিনের ছোট ছোট অভ্যাসের মধ্যেই লুকিয়ে থাকে আসল শক্তি।