আজকাল ওয়েব ডেস্ক: গরমকাল হোক বা বর্ষাকাল, ত্বক ভাল রাখতে হলে রোদে বেরোনোর আগে সানস্ক্রিন মাখানোর পরামর্শ দেন বিশেবষজ্ঞরা। এমনকী বাড়িতে থাকলেও সানস্ক্রিন মাখা উচিত। শুধু ট্যান পড়া থেকেই রোধ করে না, ত্বকের স্বাস্থ্যের উপর সানস্ক্রিনের বড় ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু অনেকে মনে করেন, সানস্ক্রিন মাখলে মুখ ঘেমে যায়। এমনকী মুখ অতিরিক্ত তৈলাক্ত ত্বক হলে ব্রণের বাড়বাড়ন্ত হতে পারে। তবে সানস্ক্রিন না মাখলে কিন্তু আরও বড় বিপদ আসতে পারে বলে মত ত্বকের চিকিৎসকেরা। 

সানস্ক্রিন না মেখে দীর্ঘক্ষণ রোদে থাকলে সূর্যের ইউভি-বি ত্বকের উপরের স্তর (এপিডারমিস) শোষণ করে নেয়। ত্বক লাল হয়ে প্রদাহজনিত সমস্যা দেখা দেয়। যে অংশে রোদ লাগে সেখানকার কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দিনের পর দিন একই ভাবে রোদ লাগলে ত্বকের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়। হয়েতো একদিনে এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেবে না। কিন্তু দীর্ঘদিন ত্বকের এইভাবে অবহেলা করলে তা বয়সের সঙ্গে বড় আকার নিতে পারে। এককথায় বলতে গেলে আপনার কম বয়সের ত্বকের অযত্নই বেশি বয়সে ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। 

সানস্ক্রিন ব্যবহার না করলে অতিবেগুনি রশ্মির কারণে অল্প বয়সে ত্বকে বলিরেখা, কালচে দাগ-ছোপ, জৌলুসহীন হয়ে যেতে পারে। একইসঙ্গে ত্বকের নিজস্ব প্রোটিন, অর্থাৎ কোলাজেন এবং ইলাস্টিন ফাইবারের ক্ষতি করে। ফলে ত্বকের টান টান ভাবও নষ্ট হয়। সানস্ক্রিন না মেখে দীর্ঘ ক্ষণ রোদে থাকলে ত্বকে মেলানিন উৎপাদন বেড়ে যায়। যে কারণে ত্বকের মুখে মেচেতার দাগ, ফ্রেকলস কিংবা অন্যান্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।

ত্বক অনুযায়ী সানস্ক্রিনের নানা ধরন আছে। এসপিএফ অর্থাৎ ‘সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর’ ৩০, ৪০, ৫০ সানস্ক্রিনের গায়ে লেখা থাকে। যা সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মির হাত থেকে আপনার ত্বককে কতক্ষণ রক্ষা করবে তা ঈঙ্গিত করে। এসপিএফ ৫০ সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির হাত থেকে ত্বককে ৯৪.৫ শতাংশ সুরক্ষা দেয়, অন্য দিকে এসপিএফ ৩০ সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির হাত থেকে ত্বককে ৯২ শতাংশ সুরক্ষা দেয়। তাই দুটির মধ্যে খুব বেশি ফারাক নেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, আমাদের দেশের যা আবহাওয়া তাতে এসপিএফ ৩০ সানস্ক্রিন ব্যবহার করলেই যথেষ্ট। ত্বকে কোনও রকম সমস্যা না থাকলে জেল জাতীয় সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারেন।