আজকাল ওয়েবডেস্ক: স্ট্রেচ মার্ক জিনিসটি আসলে কী, তা নিয়ে অনেকেরই কোনও স্পষ্ট ধারণা নেই। স্ট্রেচ মার্ক হল ত্বকের উপর লম্বা, সরু দাগ যা সাধারণত গোলাপী, লালচে, বেগুনি বা সাদা রঙের হতে পারে। এগুলো ত্বকের স্থিতিস্থাপকতার অভাবের কারণে হয়ে থাকে। স্ট্রেচ মার্ক হওয়ার প্রধান কারণ হল ত্বকের দ্রুত প্রসারিত হওয়া। যখন ত্বক খুব দ্রুত প্রসারিত হয়, তখন ত্বকের স্থিতিস্থাপক তন্তু (যেমন কোলাজেন এবং ইলাস্টিন) ছিঁড়ে যায়। এই ছিঁড়ে যাওয়ার ফলে ত্বকের নিচে দাগের সৃষ্টি হয়, যা আমরা স্ট্রেচ মার্ক হিসেবে দেখতে পাই।
গর্ভাবস্থায় পেটের ত্বক দ্রুত প্রসারিত হওয়ার কারণে, কৈশোরকালে দ্রুত বৃদ্ধি, উচ্চতা এবং ওজনের দ্রুত পরিবর্তনের সময়, m অল্প সময়ের মধ্যে বেশি ওজন বাড়লে বা কমলে সাধারণত এই দাগ দেখা যায়। এছাড়া কুশিং সিনড্রোমের মতো স্বাস্থ্যগত সমস্যা। এবং কর্টিকোস্টেরয়েড জাতীয় ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় এই দাগ দেখা যেতে পারে। এখন প্রশ্ন হল কীভাবে দূর হবে এই দাগ?
স্ট্রেচ মার্ক সম্পূর্ণরূপে দূর করা কঠিন, তবে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি নিয়মিত ব্যবহারের মাধ্যমে এদের দৃশ্যমানতা কমানো যেতে পারে।
১. অ্যালোভেরা: অ্যালোভেরার মধ্যে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং ময়েশ্চারাইজিং বৈশিষ্ট্য ত্বকের দাগ কমাতে সাহায্য করতে পারে। তাজা অ্যালোভেরা পাতা থেকে জেল বের করে স্ট্রেচ মার্কের উপর লাগান এবং হালকা হাতে মালিশ করুন। ২০-৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এটি দিনে দু’বার ব্যবহার করা যেতে পারে।
২. নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল: নারকেল তেল এবং অলিভ অয়েল উভয়ই ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করতে এবং স্থিতিস্থাপকতা বাড়াতে সাহায্য করে। স্ট্রেচ মার্কের উপর সামান্য উষ্ণ নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল নিয়ে ধীরে ধীরে মালিশ করুন। এটি ত্বককে মসৃণ রাখতে এবং দাগের দৃশ্যমানতা কমাতে সাহায্য করতে পারে। দিনে কয়েকবার এটি ব্যবহার করা যেতে পারে।
তবে মনে রাখবেন, এই ঘরোয়া পদ্ধতিগুলো ধৈর্য ধরে নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে এবং এর ফলাফল ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে।
