আজকাল ওয়েব ডেস্ক: রোজের এই গতিশীল ও ব্যস্ততার যুগে ভালোবাসা প্রকাশ করা বা কাছের মানুষটির মনের খোঁজ খবর নেওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।সকাল থেকে রাত কাজের চাপে একে অপরের মনের অনুভূতিগুলো এড়িয়ে যাওয়া যায় খুব সহজেই। নিজের মানসিক শান্তির জন্য কোন অতিরিক্ত কথায় না গিয়ে চুপ করে সরে গিয়ে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়াটাই শ্রেয় মনে হয়।তবে এইভাবে ভালোবাসা আর সম্পর্কে চিড় ধরতে দেওয়া যায় না। নিজেদের সম্পর্ককে বাঁচানোর দায়িত্ব যে আপনাদেরই। জানুন কিছু সহজ উপায় যাতে নতুন করে সম্পর্ক ভালবাসা, রোম্যান্স ও বিশ্বাসকে ফিরিয়ে আনতে পারেন।

দৈনন্দিন জীবনে আমরা এতটাই ব্যস্ত হয়ে পড়ি যে একে অপরের খোঁজ নিতে ভুলে যাই।পার্টনারের জন্যও আমাদের কোনও সময় থাকে না রোজকার শিডিউলে। এমনকী একটা ফোন করে লাঞ্চ করেছে কিনা সেটাও জানা হয় না। সেখানে তাঁর জন্য সময় বের করে কোথাও দেখা করা তো দূরের বিষয়। তাই সম্পর্কের একঘেয়েমি কাটাতে হলে প্রথমেই এই অভ্যাসে বদল আনতে হবে। ধীরে ধীরে আগের মতোই যোগাযোগ বাড়াতে হবে পার্টনার সঙ্গে।রোজ ব্যস্ত শিডিউল থেকে কয়েক মিনিট সময় বের করুন।এতে আপনার সঙ্গীও নিজেকে স্পেশাল মনে করবেন।মনের কথা বলুন দু’জনে। সারাদিনের অফিসের শেয়ার করতে পারেন। নিজের সব স্বপ্ন, ভালো লাগা এবং সমস্যার কথা মন খুলে শেয়ার করুন। এইভাবে কথা বললে একে অপরের মনের অজানা কথা সম্বন্ধে আবার নতুন করে খোঁজ পাবেন।

সবাই ভালো শ্রোতা হন না।পার্টনারের কথা মন দিয়ে শোনার উৎসাহ রাখুন।তবে এর পাশাপাশি নিজের মনের দরজাও তো খুলতে হবে।চুপ করে না থেকে নিজের মনের কথাও শেয়ার করে নিতে হবে উল্টোদিকের মানুষটার সঙ্গে। তবেই দু’জনের মধ্যে কমিউনিকেশন গ্যাপ হবে না।আপনার মনের কথা জানতে পারবে পার্টনারও।অন্যথায় দূরত্ব বাড়বে পার্টনারের সঙ্গে।

উইকএন্ডে হঠাৎ করে কেও একজন ডিনার ডেট প্ল্যান করে অপর জনকে চমকে দিন। সারা সপ্তাহের ব্যস্ততায় এক সঙ্গে বসে খেতে না পারলেও এই উপায়ে ইচ্ছেপূরণ হবে।

সম্পর্কে একঘেয়েমি কেন এসেছে, তার কারণ খুঁজে বের করুন।দু’জনের মধ্যে কারও কোনও ভুল-ত্রুটি থাকলে তা শুধরে নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে চলতে হবে। কেউ একজন সমঝোতার জন্য এগিয়ে আসলে তাঁর প্রচেষ্টাকে সম্মান জানান।

তিন থেকে চারদিন ছুটি পেলেই কাছাকাছি কোন ডেস্টিনেশনে ঘুরে আসুন। পুরনো ভালোবাসা আর রোম্যান্সে ফিরে যাবেন তা বলতেই হবে। সবসময় খোলাখুলি ও সততার সঙ্গে নিজের কাছের মানুষটিকে সবটা বলার চেষ্টা করুন।এই ছোট্ট প্রচেষ্টাটুকুও সম্পর্ক মজবুত করতে ভীষণ দরকারি। শুধু শারীরিক সম্পর্ক নয়, ছোট ছোট কারণে ভালোবেসে শরীর ছুঁয়ে কথা বলুন, মজা করুন। এমনকি কারণ অকারণে একবার জড়িয়ে ধরলেও সম্পর্কে অক্সিজেন ও ভালোবাসা ফিরে আসে।