আজকাল ওয়েব ডেস্কঃ হরমোনের সমস্যা, অনিয়মিত পিরিয়ড, অল্পবয়সে ঋতুস্রাব শুরু হওয়া বা পিরিয়ডের সময় অতিরিক্ত রক্তপাত, ক্লান্তির কারণে সিস্টের সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছেন মহিলারা। চিকিৎসা পরিভাষায় যাকে বলে 'পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম'। ডিম্বাশয় থেকে অতিরিক্ত ‘এন্ড্রোজেন’ ক্ষরণ হয়ে হরমোন ডিম্বাশয়ের গায়ে ছোট ছোট সিস্ট তৈরি করে। সিস্টের কারণে ডিম্বাশয় ভারী হয়ে যায়। এই রোগের কারণে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। ফলে নানা বদল দেখা যায় শরীরে। কয়েকটি ঘরোয়া উপায় মানলে এই রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

প্যানে কয়েক টুকরো দারচিনি ও আদা কুচি দিন।দুই গ্লাস জল দিয়ে ফোটাতে  থাকুন। জল ফুটে এক গ্লাস পরিমাণ হয়ে গেলে তা ছেঁকে রোজ সকালে খালি পেটে পান করুন। ওভারিয়ান সিস্ট হওয়াকে রোধ করে এই পানীয়।

দারচিনি  ও আদা পিরিয়ডের চক্রকে স্বাভাবিক রাখে, পিরিয়ডের ব্যথাকে কমায়। ফলে ওভারি সিস্টের সমস্যা থেকেও রেহাই পাওয়া যায়। মাথাব্যথা বা সর্দি-কাশিতে আদা চা বেশ কার্যকরী। পিসিওডির সমস্যা নিয়ন্ত্রণেও আদা চা দারুণ কাজ করে। চাইলে এই পানীয়র সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন এক চামচ মধু। সুফল পাবেন।

মনে রাখবেন, অস্বাস্থ্যকর ডায়েট ও অনিয়মিত লাইফস্টাইল ওভারিয়ান সিস্টের অন্যতম কারণ। এই সমস্যাকে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছনোর আগে নিজের জীবনযাপনকে আরও স্বাস্থ্যকর করুন। ডায়েটে বেশি পরিমাণে ফল, সবুজ শাক-সব্জি, গোটা শস্য রাখুন। এই তালিকায় স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, ওটস, গম, কাঠবাদাম, আখরোট এবং পালংশাক প্রভৃতিও রয়েছে। অ্যান্টি–অক্সিড্যান্টসমৃদ্ধ খাবার ডায়েটে রাখলে পিসিওএসের  সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

আবার পিসিওডি হলে ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার খাওয়াও অত্যন্ত জরুরি। ওটস, ব্রাউন রাইস, মসুর ডাল, সূর্যমুখী বীজ, ফ্ল্যাক্স সিড, চিয়া সিড প্রভৃতি ফাইবারের দুর্দান্ত উৎস। তাছাড়া এই রোগ থেকে রেহাই পেতে কার্ডিয়ো সবচেয়ে উপযোগী। রোজ সকালে ২০ মিনিট জোরে হাঁটুন, জগিং ও সাইক্লিং করতে পারেন। সাঁতারও খুব ভাল উপকার দেয়। সঙ্গে ফ্রি-হ্যান্ড ব্যায়াম করুন।