সারা বছর তো বটেই, অনেকে শীতকালে খুশকির সমস্যায় বেশি ভোগেন। আসলে ঠান্ডার সময়ে ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যায়৷ বাদ যায় না স্ক্যাল্পও৷ বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কম থাকায় মাথার ত্বক রুক্ষ এবং শুষ্ক হয়ে ওঠে। ফলে অনেকের স্ক্যাল্প শুকিয়ে খুশকির সমস্যা শুরু হয়৷ আর একবার কোনও কারণে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে শীত চলে গেলেও পিছু ছাড়ে না খুশকি৷ তাই শীতকাল আসার আগেই খুশকি প্রতিরোধে সচেতন হওয়া প্রয়োজন। কয়েকটি ঘরোয়া পদ্ধতিতে সহজেই খুশকির যন্ত্রণা থেকে নিস্তার পেতে পারেন।
• মিক্সারে ১৫-১৬টা নিমপাতা ভাল করে বেটে নিয়ে তাতে ৪ চামচ অলিভ ওয়েল মেশান। একটি মিশ্রণ তৈরি করে চুলের গোড়ায় খুব ভাল করে লাগিয়ে নিন। ১ ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন। কয়েক দিন ব্যবহারের পরই ফল দেখতে পাবেন।
• পেঁয়াজের রসে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান রয়েছে। ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি৬-এ ঠাসা পেয়াঁজ। এই আনাজ খুশকির সমস্যা কমাতেও সাহায্য করে। বড় একটি পেঁয়াজের পেস্ট বানিয়ে তার থেকে রস চিপে বার করুন৷ এরপর সেই রস আঙুলের সাহায্যে ধীরে ধীরে চুলের গোঁড়ায় লাগান। আধ ঘণ্টা অপেক্ষা করে শ্যাম্পু করুন। সপ্তাহে ১-২ বার এই পেঁয়াজের রস ব্যবহার করলে কমবে খুশকি ও চুল পড়ার সমস্যা।
• খুশকির সমস্যায় পাতিলেবু ব্যবহার ঘরোয়া রূপটানে বেশ জনপ্রিয়। প্রচুর পরিমাণে সাইট্রিক অ্যাসিড এবং ভিটামিন সি-তে ভরপুর লেবু চুলের গোড়াকে খুশকি মুক্ত করে। তবে লেবুর রস কখনও সরাসরি চুলে ব্যবহার করবেন না। এর অ্যাসিডিক উপাদান আপনার চুলের ও স্ক্যাল্পের ক্ষতি করতে পারে। হেয়ার প্যাকে মিশিয়ে পাতিলেবু ব্যবহার করুন।
• ত্বক ও চুলের অনেক সমস্যাতে নারকেল তেলের ব্যবহার উপকারী বলে মনে করা হয়। নারকেল তেল খুশকির সমস্যার জন্য একটি চমৎকার প্রাকৃতিক প্রতিকার৷ এটি ব্যবহার করে মাথার ত্বকের শুষ্কতা দূর হয় এবং ত্বক হাইড্রেটেড থাকে৷ নারকেল তেল স্ক্যাল্পের চুলকানি ও ফোলাভাব দূর করে। শ্যাম্পু করার আগে তেল সামান্য গরম করে চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করুন। তবে যাদের স্ক্যাল্প তৈলাক্ত তাঁদের নারকেল তেল না মাখাই শ্রেয়।
