২০২০ সালের ১৫ নভেম্বর প্রয়াত হন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। তারপর কেটে গিয়েছে পাঁচটি বছর। তবে প্রতি বছরই এই তারিখে মনখারাপ না করে সৌমিত্র-কন্যা পৌলোমী চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর নাট্যদল নাটক মঞ্চস্থ করেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের স্মৃতির উদ্দেশ্যে সম্মান জানানোর লক্ষ্যে। চেষ্টা করেন কাজ দিয়ে স্মরণ করার। তবে এবার এই তারিখ পৌলোমী চট্টোপাধ্যায়ের কাছে আরও একটি কারণের জন্য বিশেষ হয়ে উঠেছে। 

 

আগামী ১৪ ও ১৫ নভেম্বর অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টসে সবার পথে নাট্যদলের উদ্যোগে ও শ্যামবাজার মুখোমুখির সহযোগিতায় উদযাপন করা হবে ‘নাট্য নন্দিনী’।  বাংলা রঙ্গমঞ্চের অভিনেত্রীদের নামে উৎসর্গ করা এই আয়োজনে এবারের নাট্য নন্দিনী সম্মানে সম্মানিত করা হচ্ছে পৌলোমী চট্টোপাধ্যায়কে।  আরও ভাল করে বললে, তাঁর সম্মানেই আয়োজন করা হয়েছে এই দু'দিন ব্যাপী নাট্য উৎসব। জানিয়ে রাখা ভাল, ৩৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে একনিষ্ঠ নাট্যকর্মী হিসেবে সুপরিচিত পৌলোমী চট্টোপাধ্যায়।  তাঁর প্রযোজিত, পরিচালিত অভিনীত, করা চারটি নাটক (টিনের তলোয়ার, চন্দনপুরের চোর, মেডেয়া ও মাসাক্কালি)মঞ্চস্থ হবে এই দুদিনে। তাঁর মধ্যে চন্দনপুরের চোর নাটক পৌলোমী চট্টোপাধ্যায় নির্দেশিত। আবার গ্রিক ট্র্যাজেডি অবলম্বনে শিলাদিত্য রায়ের পরিচালনায় ইংরেজি নাটক ‘মেডেয়া’-তে অভিনয় করেছেন সৌমিত্র-কন্যা। তবে মেডেয়া-তে কিন্তু অভিনেতা এক জনই। অর্থাৎ এ নাটক পৌলোমীর একক পারফরম্যান্স।  

 


গোটা বিষয়টি নিয়ে আজকাল ডট ইন-এর সঙ্গে কথা বললেন পৌলোমী চট্টোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “বাপি খুব জীবনমুখী মানুষ ছিলেন। দু’হাত ভরে জীবনকে আলিঙ্গন করেছেন। তাই মনখারাপ নয়, চেষ্টা করি ওঁর জীবনটাকে এমব্রেস করার। তবে একেক সময় মনে হয়, পলকে বছরগুলো কেটে গেল। ভীষণ কাজপাগল ছিলেন। কাজের মাধ্যমেই সেই দিনটিকে উদ্‌যাপন করতেন। শুটিং অথবা মঞ্চ নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন। তাই আমি এবং আমাদের নাট্যদল চেষ্টা করি বাপির জন্মবার্ষিকী ও মৃত্যুবার্ষিকী- এই দুই তারিখে যেন কোনও না কোনও নাটক অথবা অনুষ্ঠানে পারফর্ম করার। এইভাবেই সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের চেষ্টা করি আমরা। এবারে ওঁর মৃত্যুবার্ষিকীতে আমাকে ‘নাট্য নন্দিনী’ সম্মান জ্ঞাপন করা হচ্ছে। তাই বিষয়টি আমার কাছে ভীষণ স্পেশ্যাল। আমার বাবাকে এর থেকে ভাল ভাবে আর সম্মান দেওয়া যায় কি?”