আজকাল ওয়েবডেস্ক : ঠান্ডার আঁচ ধীরে ধীরে মালুম হচ্ছে। শীতের শুরুতে প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই হালকা সর্দিকাশি, জ্বরে ভুগছেন। বয়স্ক হোক বা খুদে কিংবা মাঝবয়সি আবহাওয়া বদলের দাপটে রেহাই পাচ্ছেন না কেউই। মরসুমি সংক্রমণ ঠেকাতে এই সময়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির দিকে নজর দিতে হবে। কিন্তু কীভাবে বাড়বে? রইল তারই হদিশ।
সাধারণ ফ্লু থেকে শুরু করে নানারকম ভাইরাসের উত্পাত শুরু হয়ে যায় এই সময়। সর্দি, কাশি, জ্বরে ভুগে রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতাও বিগড়ে যায়। তবে শরীরকে যদি এইসবের মধ্যে থেকে দূরে রাখতে চাইলে তুলসি পাতা খাওয়া অত্যন্ত উপকারী। সকালে চায়ের কাপে চুমুক না দিলে দিন শুরু হয় না অনেকেরই। কিন্তু ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে তুলসী পাতার চা খেলে উপকার পাবেন দ্বিগুণ।
দু'কাপ জল সসপ্যানে গরম করতে দিন। বেশ কিছু টাটকা তুলসীপাতা পরিষ্কার করে জলে ধুয়ে রাখুন। জল ফুটতে শুরু করলে পাতাগুলো দিয়ে দিন। সঙ্গে দিন চার পাঁচটি গোটা গোলমরিচ ও লবঙ্গ। এক চামচ হলুদগুঁড়ো দিন। তিন থেকে চার মিনিট ভাল করে ফুটিয়ে নিন। জল ফুটে অর্ধেক হয়ে এলে নামিয়ে নিন। গ্লাসে এক চামচ মধু দিন। তুলসীপাতার চা ঢেলে দিন।
তুলসির চায়ের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট উপাদান কোষের ফ্রি- র্যাডিকলের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। তাতে অনেক রোগের বিস্তারকে বিনাস করা সহজ হয়। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে প্রতিটি ভারতীয় পরিবারে তুলসি গাছকে পুজোর আসনে বসানো হয়েছে। একে শুধু দেবতা জ্ঞানে নয়, এর উপকারী গুণাবলীও প্রচুর।
তুলসী পাতার গুণ, বলে শেষ করা সম্ভব নয়। আাগেকার দিনে সর্দি-কাশি হলে মা-ঠাকুমারা শিশুদের তুলসী পাতার রস, মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়াতেন। তাতে কাজও হত বেশ। ব্যাক্টেরিয়া, ভাইরাস ঠেকাতে, প্রদাহ কমাতে এই ভেষজ ভীষণ কার্যকর। তুলসী পাতা দিয়ে চা বা তুলসী পাতার রস খেতে পারেন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে দুরন্ত গতিতে।
