আজকাল ওয়েব ডেস্কঃ চাকরি-সংসার সামলে চুল ও ত্বকের যত্ন করার মতো সময় কোথায়? পুজো মিটতেই এদের অবস্থা খুবই শোচনীয়।ধুলো ময়লা জমে ও অযত্নে চুল পড়ে কপাল চওড়া হয়ে গেছে, আবার ত্বকেও কালো দাগ ছোপে ভরে গেছে। পার্লারে গিয়ে অঢেল টাকা ও সময় নষ্ট করার কোন দরকার নেই। ঘরেই তৈরি করুন এই পানীয় যা একইসঙ্গে চুল ও ত্বকের যত্ন করবে।
একটি গোটা শশাকে খোসা সমেত ও একটি আমলকীকে টুকরো করে কেটে নিন। এক টুকরো আদাকে কুচিয়ে দিন। কয়েকটি কারিপাতা ভাল মতো পরিষ্কার করে ধুয়ে নিন।
সমস্ত উপকরণগুলো ব্লেন্ডারে দিয়ে দিন। হাফ গ্লাস জল দিন। জুস হয়ে গেলে ছাঁকনিতে ছেঁকে নিন। খাওয়ার আগে হাফ চামচ বিট নুন ও দু'চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন।
এই জুস আপনার ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যের জন্য পাওয়ারহাউস। আমলকীতে আছে ফাইটো-নিউট্রিয়েন্ট, ভিটামিন ও মিনারেল। যা আপনার স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন ও আপনার চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
আমলকী আপনার চুল ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চুলকে মজবুত রাখার পাশাপাশি কন্ডিশনিংও করে। তাই রুক্ষ ও শুষ্ক চুলে এই আমলকি বেশ কার্যকরী। স্ক্যাল্প পরিষ্কার রাখার জন্য এই আমলকির রস বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনার স্ক্যাল্পের আর্দ্রতা ধরে রাখে। স্ক্যাল্পে পুষ্টির জোগান দেয়। চুলের গোড়া মজবুত করে ও চুলে ফেরায় প্রাকৃতিক জেল্লা। আবার শসার গুণে ব্রণর সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
সানবার্ন হলে বা ত্বক জ্বালা করলে শসার রস লাগাতে পারেন। শসায় ৯৬ শতাংশ জল। তাই এটি ত্বকে আর্দ্রতার জোগান দেয়। ত্বক যদি অতিরিক্ত তেলতেলে হয়ে যায়, ময়লা জমে থাকে তবে ব্রণ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। নিয়মিত শসার রস ত্বকে মাখলে তেলতেলে ভাব কমে, মুখও পরিষ্কার থাকে।
কারি পাতার মধ্যে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, আয়রন এবং একাধিক অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান রয়েছে যা ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে সহায়ক।
