আজকাল ওয়েব ডেস্ক: দুর্গাপুজোর পরেই পালিত হয় কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো।এই বছর ১৬ই অক্টোবর রাত ৭টা ২৩মিনিট থেকে ১৭ অক্টোবর সন্ধ্যা ৫টা ৭ মিনিট ৩৬ অবধি থাকবে পূর্ণিমা তিথি।
দুর্গাপুজোর পরেই পালিত হয় কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো। মা লক্ষ্মীর বিশেষ অর্চনা হয় শারদ পূর্ণিমার দিনে। শাস্ত্র মতে বলা হয়, মা লক্ষ্মী খুব অল্পেতেই সন্তুষ্ট- কিন্তু উপযুক্ত নিয়মাবলী ও কিছু বিধিনিষেধ মেনে দেবীকে আহ্বান জানাতে হয়।সুখী গৃহস্থ বাড়িতে মা লক্ষ্মী বাস করেন বলে মনে করা হয়।লক্ষ্মী দেবী শুধু তাঁর সঙ্গে সম্পদ নিয়ে আসেন না, তার সঙ্গে সংসারে সুখ ও শান্তিও আসে তাঁর হাত ধরে।যে সংসার যিনি ত্যাগ করে যান, সেই সংসারে নানা দুঃখ, দুর্দশা, দারিদ্র্য ও অশান্তি মাথা তোলে।তাই লক্ষ্মীদেবীকে তুষ্ট রাখতে আমরা সবাই চাই। কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো উপলক্ষে কলার ছড়া দিয়ে নৈবেদ্য সাজানোর চল রয়েছে।পুজোর বেদীতে সোনা ও রুপোর গহনা রেখে দেন অনেকে লক্ষ্মীলাভের আশায়।বাড়ির দরজায় মা লক্ষ্মীর পায়ের ছাপের আল্পনা আঁকা হয়।
লক্ষ্মীদেবীর আরাধনার তোড়জোড় চলছে জোরকদমে।দশকর্মা ভান্ডার, ফল-ফুল, মিষ্টির দোকান থেকে সকলেই ব্যস্ত লক্ষ্মীপুজোর আয়োজনে।
কথিত আছে নারকেল ও পানিফলের পাশাপাশি লক্ষ্মীর প্রিয় ফল তাল ফোপরা।প্রসাদ হিসাবে মা লক্ষ্মীকে তালের এই শুকনো শাঁস বা ফোপরা নিবেদন করা হয়। কখনও শুকনো চিড়ে বা তালকে ফাটিয়ে ভেতর থেকে শাঁস বের করে মা লক্ষ্মীর আরাধনায় নিবেদিত হয় এই ফল।এছাড়া পানি ফল এবং পদ্মবীজ বা মাখানাও মা লক্ষ্মীর প্রিয় ফল হিসাবে পরিচিত। তাই লক্ষ্মীপুজোতে এই দুটি ফলও দেওয়া হয়।কোজাগরী পূর্ণিমার দিনে মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পেতে চান, তবে পুজো করার সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখুন।সেই বিষয়গুলি মেনে চললে মা লক্ষ্মীর কৃপায় কখনও অর্থের অভাব হবে না।
