আজকাল ওয়েবডেস্ক: আয়রন আমাদের শরীরের অন্যতম প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান। এটির অভাবে লোহিত কণিকা তৈরি হতে পারে না। তাই রক্তশূন্যতার অন্যতম প্রধান কারণ আয়রনের ঘাটতি। কিন্তু আয়রন শুধু রক্তকণিকা তৈরি করে না, দেহের শক্তি উৎপাদন থেকে শুরু করে মস্তিষ্কের স্নায়ুপ্রবাহও নির্ভর করে পর্যাপ্ত আয়রনের উপস্থিতির ওপর। তাই দেহে আয়রনের ঘাটতি হলে দেখা দিতে পারে বহু জটিল সমস্যা। আয়রনের ঘাটতির বেশ কিছু অচেনা লক্ষণ রয়েছে। যা ঠিক সময়ে চিহ্নিত করা অত্যন্ত জরুরি। যেমন- 

* জিভ ফুলে যাওয়া- শরীরে আয়রনের মাত্রা কম গেলে জিভ ফুলে যেতে পারে। জিভে লাল রঙের আধিক্যও হতে পারে। এছাড়াও আয়রনের ঘাটতিতে জিভে ফোলাভাব বা ব্যথাও হয়। জিভের খাঁজগুলি সমতল হয়, ফলে স্বাভাবিকের চেয়ে মসৃণ দেখায়।
* পায়ে শিরশির অনুভূতি: শরীরে আয়রনের পরিমাণ বিপজ্জনকভাবে কমে গেলে 'রেস্টলেস লেগ সিনড্রোম (আরএলএস)' হতে পারে। সাধারণত রাতে এই লক্ষণ দেখা দেয়। এতে সারাক্ষণই পা নাড়াচড়া করার ইচ্ছা অনুভূত হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সমস্যায় ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। 
* চুল পড়া: আয়রনের ঘাটতিতে মারাত্মক হারে চুল পড়তে পারে। যাকে ডাক্তারি পরিভাষায় বলে অ্যালোপেসিয়া। আসলে হিমোগ্লোবিন চুলের বৃদ্ধির জন্য চুলের ফলিকলে অক্সিজেন ও পুষ্টি জোগায়, যেহেতু আয়রন যেহেতু হিমোগ্লোবিনের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তাই এটির ঘাটতিতে চুল পড়ার সমস্যা বাড়ে। 
* কানে শব্দ শুনতে পাওয়া: আয়রনের ঘাটতির একটি প্রধান লক্ষণ কানে হু হু শব্দ শুনতে পাওয়া। যা টিনিটাস নামেও পরিচিত। বিশেষজ্ঞদের মতে, টিনিটাসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা তাদের নিজেদের পালস, হৃদস্পন্দন শুনতে পারেন। যা তাদের মাথার ভিতরে কোনও শব্দের গুঞ্জন, হিস হিস শব্দের মাধ্যমে প্রকাশ পেতে পারে।

অন্যান্য লক্ষণ-

*শারীরিক দুর্বলতা
*মাথাব্যথা বা মাথা ঘোরানো
*মনোযোগ কমে যাওয়া
*মাংসপেশিতে ব্যথা
*অস্থিসন্ধিতে ব্যথা
*বুক ধড়ফড় করা বা বুক ভার হয়ে থাকা।
*শ্বাসকষ্ট
*স্থূলতা