আজকাল ওয়েব ডেস্ক: কিছু খাবারের সম্পর্কে আমাদের বদ্ধমূল ধারণা থাকে যে এদের ডায়েটে রাখলে আখেরে লাভ নেই, ক্ষতিই বেশি। কিন্তু সত্যতা যাচাই করলে জানা যায় এইসব অস্বাস্থ্যকর খাবারেরও রয়েছে কিছু গুনাগুন। জানুন আসল সত্যি।
ঘরে তৈরি চিপস্ আপনার শরীরের কোন ক্ষতি করে না। শুধুমাত্র তেল ও সেদ্ধ বা কাঁচা আলু দিয়ে ঘরোয়া চিপস্ তৈরি করলে তা ভিটামিন ই এর ঘাটতি পূরণ করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করতে যা ভীষন জরুরী। তাছাড়া এই খাবারে ফাইবার পাওয়া যায় যা দুটি হোল গ্ৰেইন ব্রেডের মতো পুষ্টি যোগায়।
ডিম ভাজার তুলনায় ডিমের পোচ বেশি উপকারি। এতে প্রোটিন, ভিটামিন বি, ডি ও সেলেনিয়াম থাকে যা শরীরের বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করে। ভাজা ডিমও কিছু ক্ষেত্রে উপকারি। এতে ক্যালরি থাকলে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় কিন্তু অলিভ অয়েল বা যে কোনও আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট সমৃদ্ধ তেল দিয়ে রান্না করলে এর পুষ্টিগুণ বজায় থাকে।
শরীরের ফ্যাট কিছুটা ঝরাতে চাইলে আনপ্রসেসড রেড মিট খেতে পারেন। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন, তবে অবশ্যই তার হবে সীমিত। রেড মিট পরিমাণ মতো সপ্তাহে একদিন খেতে পারলে শরীর প্রচুর জিঙ্ক ও আয়রন শোষণ করে। সন্তানধারণের প্রক্রিয়া স্বাভাবিক হয় এবং ব্রেনের স্বাস্থ্যকে ভাল রাখে।
চিজ খেলে ফ্যাট বাড়ে, তাই তো? এর কিছু গুন কিন্তু অন্য কথা বলছে। যারা চিজ খান, তাদের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। পেটের খারাপ ব্যাকটেরিদের নষ্ট করে ও মেটাবোলিজম বাড়িয়ে দেয় চিজ খাওয়ার অভ্যাস। উচ্চ মাত্রায় ক্যালশিয়াম ও প্রোটিন সমৃদ্ধ হওয়ায় পেট ভরে থাকে অনেকটা সময় ও খিদে কম করে। স্বাভাবিকভাবেই ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
পিনাট বাটার প্রায় সকলেরই পছন্দের। কিন্তু এটির কিছু অস্বাস্থ্যকর গুনও সবার জানা। তবে এক চামচ পিনাট বাটার প্রায় ১.৫ গ্ৰাম ভিটামিন ই শরীরকে যোগান দেয় ও আপনার সারাদিনের নিয়াসিনের যোগান দেয়। যা নার্ভ ও চুলের সমস্যা ও ক্লান্তিকে দূর করতে পারে।
