আজকাল ওয়েবডেস্কঃ ঘুম ভেঙে উঠে সেই যে রোজের যুদ্ধ শুরু, বিশ্রাম একেবারে রাতে। সারা দিনের ব্যস্ততায় সময় নেই নাওয়া-খাওয়ার। ত্বকের পরিচর্যা না হয় না-ই হল। প্রতিদিনের এই ছুটে চলায় অবহেলিত ত্বক। দিনভর ক্লান্তির ছাপ স্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠছে চোখে-মুখে, হারাচ্ছে জেল্লা। কিন্তু তাই বললে কি আর হয়! নিজেকে ভাল রাখাও যে জরুরি। কারণ গবেষণা বলছে, নিজের যত্ন নিলে ভাল থাকে মন। তখনই বাকি সকলকেও ভাল রাখা যায়। আর স্কিন কেয়ারও এই যত্নের একটি অংশ। আসলে নূন্যতম ত্বকের যত্ন না নিলেই অকালেই পড়তে পারে বার্ধ্যকের ছাপ। সেক্ষেত্রে কোন নতুন পরিচর্যায় নিজেকে সুন্দর করে তুলবেন? জেনে নিন।
* এডিবেল স্কিনকেয়ার- শুধু বাহ্যিক সৌন্দর্য নয়, এডিবেল স্কিনকেয়ার ভিতর থেকে ত্বকের জেল্লা ফিরিয়ে খাবার, ভিটামিন এবং কোলেজেন বাড়ায় এমন উপাদানের মাধ্যমে উন্নতি হয় ত্বকের স্বাস্থ্যের। এডিবেল স্কিনকেয়ার ত্বককে টানটান, হাইড্রেট রাখা সহ ভিতর থেকে যত্ন নেয়।
* ফিল্টার ফ্রি স্কিন- সোশ্যাল মিডিয়ার ফিল্টারের যুগে প্রাকৃতিক, ফিল্টার ফ্রি তরজাতা ত্বক কে না চায়! আর সেই ট্রেন্ডই হল ফিল্টার ফ্রি স্কিন। যা কৃত্তিমতা ছাড়াই প্রকৃত সৌন্দর্যকে ফুটিয়ে তোলে। টিন্টেট ময়শ্চারাইজার এবং লাইট রিফ্লেক্টিং প্রাইমারের মতো ন্যাচারাল বিউটি প্রোডাক্টই ফিল্টার ছাড়া ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুনঃ আদরের কামড়ে ঘনিয়ে আসতে পারে মৃত্যু! 'লাভ বাইট'-র এই সব মারাত্মক পরিণতি জানলে শিউরে উঠবেন
* হাইড্রলিক অ্যাসিড-ত্বকের পরিচর্যায় গেম-চেঞ্জার হতে পারে হায়ালুরোনিক অ্যাসিড। এটি একটি প্রাকৃতিক হিউমেক্ট্যান্ট হিসাবে কাজ করে। ত্বকে আর্দ্রতা ধরে রাখতে এবং ত্বক নরম ও কোমল রাখতে সাহায্য করে এই উপাদান। ত্বকের বয়স বাড়তে শুরু করলে তা হায়ালুরোনিক অ্যাসিড এবং কোলাজেন হারাতে শুরু করে। যার ফলে বলিরেখা এবং সূক্ষ্মরেখা দেখা দেয়। তাই হায়ালুরোনিক অ্যাসিড ব্যবহার করলে আপনি বয়স ধরে রাখতে পারবেন অনায়াসেই।
* লিম্ফ্যাথিক এক্সফোলিয়েশন- শরীরের ডিটক্সের মতো ত্বকেরও প্রয়োজন ডিটক্সিফিকেশন। সেই কাজটি করে স্কিনকেয়ারে ট্রেন্ডি লিম্ফ্যাথিক এক্সফোলিয়েশন। কৌশলটিতে মৃদু ম্যাসেজের মাধ্যমে মুখের ফোলাভাব কমে, রক্ত সঞ্চালন এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে। আজকাল ফেসিয়ালের মধ্যেও লিম্ফ্যাথিক এক্সফোলিয়েশন যুক্ত করা হচ্ছে।
* এক্সোসোম- ত্বককে তরতাজা করতে এক্সোসোম ব্যবহার করা হয়। ট্রেন্ডিং এই প্রক্রিয়াও কোলোজেন উৎপাদন বাড়ায়, প্রদাহ কমায় এবং ত্বকের ধরন উন্নত করে। এককথায় স্বাস্থ্যকর ত্বক পেতে এক্সোসোম অতুলনীয়।

* স্কিন স্ট্রিমিং- ত্বকের পরিচর্যায় স্কিন স্ট্রিমিং নতুন নয়। ইদানীং নয়া মোড়কে রূপচর্চায় হাজির হয়েছে এই ট্রেন্ড। নির্দিষ্ট ত্বক অনুযায়ী স্কিন স্ট্রিমিং ত্বকের যত্ন নেয়। ব্যক্তিবিশেষে কাজ করে ত্বকের চাহিদা বুঝে।
* এপিজেনেটিক স্কিনকেয়ার- বাহ্যিক চর্চা যে ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে তাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখাতে পারে এপিজেনেটিক স্কিনকেয়ার। নির্দিষ্ট ত্বকের সমস্যা বুঝে সমাধান দিতে পারে এই পরিচর্যা।
* হোলিস্টিক ফেসিয়াল- ট্রাডিশনাল ফেসিয়ালের প্রযুক্তির সঙ্গে আধুনিকতার মিশ্রণ হোলিস্টিক ফেসিয়াল। আর সেই কারণেই এই ত্বকের পরিচর্যার ট্রেন্ড বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। যেখানে গোলাপ জল, অ্যালোভেরা উপাদানের সঙ্গে রয়েছে ল্যাভেন্ডার কিংবা ইউক্যালিপটাসের মতো এসেনসিয়াল অয়েল।
