আজকাল ওয়েব ডেস্ক: একবার শুরু হলে যেন আর থামতেই চায় না। ঘুম থেকে উঠতেই জেদি হাঁচির চোটে প্রাণ ওষ্ঠাগত হওয়ার জোগাড়। এক নাগাড়ে কখনও কখনও ১০-১২টা হাঁচি হয়েই চলেছে। নেপথ্যে অ্যালার্জি হোক কিংবা ধুলো, বা যাই কারণ থাকুক না কেন, হাঁচি যে অত্যন্ত অস্বস্তিকর। অ্যান্টি অ্যালার্জিক ওষুধ খেয়ে মুক্তি মেলে বটে, তবে সেই সব ওষুধে আবার ঘুমে চোখ বুজে আসে। ফলে দিনের বেলা কাজের সময়ে খাওয়ার উপায় নেই। তবে কয়েকটি ঘরোয়া টোটকায় হাঁচির সমস্যা থেকে স্বস্তি পেতে পারেন। জেনে নিন সেই টিপস। 

মধু: সর্দির হাঁচির সমস্যায় দারুণ কাজ করে মধু। অ্যালার্জির হাঁচিও কিছু কিছু ক্ষেত্রে মধু আটকে দিতে পারে। এক চামচ মধু গলায় গেলেই হাঁচির প্রবণতা কমে যায়।

জিভের টোকা: টানা হাঁচি হয়েই চলেছে? টাকরায় জিভ দিয়ে টোকা দিন। নিমেষে বন্ধ হবে হাঁচি। এই পদ্ধতিতে অনেকেই অল্প সময়ে হাঁচি থামিয়ে ফেলতে পারেন।

ইউক্যালিপটাস তেল: এই তেলের গন্ধে হাঁচি থেমে যায়। রুমালে ২-৩ ফোঁটা ইউক্যালিপটাস তেল নিয়ে হাঁচির সময় ক্রমাগত শুঁকতে থাকুন। দ্রুত বন্ধ হয়ে যেতে পারে হাঁচি।

কালো এলাচ: হাঁচি থেকে বাঁচতে দু’তিন বার কালো এলাচ চিবোতে পারেন। এই সমস্যায় কালো এলাচের তেলও খুব উপকারী। 

আমলকি: হাঁচির সমস্যা কমাতে নিয়মিত গোটা আমলকি কিংবা আমলকির জুস খান। আমলকিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট। এছাড়াও এতে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। 

তুলসী পাতা: আয়ুর্বেদ মতে, প্রচুর গুণে ভরপুর তুলসী পাতা। হাঁচি কমাতে ৩-৪টে তুলসী পাতা জলে ফুটিয়ে নিন। এবার রাতে ঘুমানোর আগে এই জল খেলেই উপকার পাবেন। 

আদা:সামান্য আদা ও মধু গরম জলে ফুটিয়ে রাতে শোওয়ার আগে পান করুন। ঋতু পরিবর্তনের সময়ে হাঁচি বা নাক বন্ধ হওয়ার সমস্যা কমবে।