আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারতীয় গৃহস্থ বাড়ির খাদ্যতালিকায় দুধ একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ক্যালশিয়াম, আয়রন, ভিটামিন ও রকমারি খনিজে ভরপুর দুধকে সুষম খাবারের তালিকাতে রাখা হয়। শরীরে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি পূরণ হয় এই পানীয়ে। সকালের চা থেকে শিশুদের ব্রেকফাস্ট হোক কিংবা যে কোনও মিষ্টি, দুধের চাহিদা সর্বত্র। কিন্তু রোজ আপনি যে দুধ খাচ্ছেন তা খাঁটি কিনা কখনও ভেবে দেখেছেন? 

আজকাল দুধে চকের গুড়ো, ডিটারজেন্ট মিশিয়ে বিক্রি করে অসাধু ব্যবসায়ীরা। এই ভেজাল দুধ পেটে গেলেই সর্বনাশ। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক এবং গর্ভবতী মহিলাদের জন্য এই ভেজাল দুধ পান করা অত্যন্ত ক্ষতিকর। ভেজালের যুগে, প্রতিদিন ঘরে আসা দুধ কতটা স্বাস্থ্যকর তা জানা জরুরি। সেক্ষেত্রে কোনও রাসায়নিক বা ল্যাব পরীক্ষা ছাড়াই কয়েকটি সহজ কৌশলে আপনি দুধ খাঁটি কিনা জানতে পারবেন। 

১. একটি মসৃণ পৃষ্ঠ যেমন স্টিলের প্লেট বা কাচের টুকরোর উপর কয়েক ফোঁটা দুধ ফেলে দিন। এবার দুধ কীভাবে গড়িয়ে পড়ছে সেদিকে খেয়াল করুন। যদি দুধ ধীরে ধীরে প্রবাহিত হয় এবং একটি ঘন সাদা রেখা ছেড়ে যায়, তবে সেটি খাঁটি। আর দুধ দ্রুত প্রবাহিত হয়ে কোনও রেখা না ফেললে জল বা অন্যান্য জিনিসের সঙ্গে মেশানো হতে পারে।

২..দুধে স্টার্চ মেশানো আছে কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য আপনি আয়োডিন পরীক্ষা করতে পারেন। যার জন্য, দুধে কয়েক ফোঁটা আয়োডিন যোগ করুন। যদি দুধের রঙ নীল হয়ে যায় তাহলে বুঝতে হবে এতে স্টার্চ মেশানো হয়েছে।

৩. দুধের ফেনা পরীক্ষা করতে পারেন। একটি বোতলে দুধ ঢেলে জোরে ঝাঁকান। যদি অতিরিক্ত ফেনা তৈরি হয়, তাহলে এটি কৃত্রিম দুধ হতে পারেন। অনেকে সময়ে দুধে ডিটারজেন্ট মেশানো থাকলে বেশি ফেনা হয়। 

৪. দুধ গরম করতে গেলেই কি হলদেটে হয়ে যায়? তাহলে বুঝতে হবে সেই দুধ খাঁটি নয়। এতে কার্বোহাইড্রেট মিশে থাকার আশঙ্কা রয়েছে। 

৫. দুধে পাত্রে নিয়ে তাতে ২ চা চামচ নুন মেশান। যদি নুনের সংস্পর্শে এসে দুধ নীলচে হয়, তাহলে দুধ খাঁটি নয় বলেই বুঝবেন।