গরমে স্নিভলেস পোশাক পরলে বেশ আরাম পাওয়া যায়। কিন্তু পছন্দের পোশাকের ফাঁক দিয়ে বাহুমূলের দাগছোপ উঁকি মারলে লজ্জায় পড়েন অনেকে। মহিলা হোক বা পুরুষ, বাহুমূলের চারপাশে কালো দাগছোপ সকলের জন্যই বেশ অস্বস্তির। মূলত যাঁদের ত্বকে মেলানিন কিংবা মেলানোসাইটের পরিমাণ বেশি, তাঁদের বাহুমূলে দাগছোপ পড়ার প্রবণতা বেশি থাকে। তবে শরীরে হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণেও এমন হতে পারে। আবার অনেকে বাহুমূলের কেশ তুলতে রেজার ব্যবহার করেন। যাতে লাভের বদলে হিতে বিপরীত ফল হয়। তবে কারণ যাই হোক না কেন, বাহুমূলের দাগ তুলতে কয়েকটি ঘরোয়া টোটকায় ভরসা রাখতে পারেন।
* লেবুর রস: লেবুর রসে প্রাকৃতিক ব্লিচিং উপাদান যেমন সাইট্রিক অ্যাসিড থাকে। যা বাহুমূলের ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। লেবুর রস ১০-১৫ মিনিটের জন্য বাহুমূলে লাগিয়ে ভাল করে ধুয়ে ফেলুন।
* আলু: আলুর টুকরো বা আলুর রস বাহুমূলের পিগমেন্টেশন কমাতে সাহায্য করে। এটির প্রাকৃতিক ব্লিচিং উপাদান ত্বকের দাগছোপ দূর করে।
* বেকিং সোডা: বেকিং সোডা এবং জল দিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। ত্বকের মৃত কোষ এবং কালচে ভাব দূর করতে এই মিশ্রণটি দিয়ে বাহুমূলে আলতো করে এক্সফোলিয়েট করুন।

* শসা: বাহুমূলের কালো ভাব দূর করতে শশাও কার্যকরী। কালচে অংশে খানিকক্ষণ শশার টুকরো লাগিয়ে রাখলে উপকার পাবেন।
* হলুদ: হলুদ এবং দইয়ের পেস্ট শুধু ত্বককে উজ্জ্বল করে না। এটির প্রদাহ-বিরোধী এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যও রয়েছে। যা ত্বকের যে কোনও দাগছোপ সহজে কমাতে পারে।
* নারকেল তেল: ভিটামিন এবং ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ নারকেল তেল ত্বককে ময়েশ্চারাইজ এবং উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। নারকেল তেল লাগালে বাহুমূলের দাগছোপ কমবে।
* অ্যালোভেরা: অ্যালোভেরা জেল কেবল জ্বালাপোড়া কমায় না, ত্বকের কালচে ভাব কমাতেও সহায়ক। এটি নিয়মিত ব্যবহার করলেই পার্থক্য বুঝতে পারবেন।
