আজকাল ওয়েবডেস্ক: শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করে দেওয়ার জন্যই প্রয়োজন ডিটক্সিফিকেশনের। এতে ভিতর থেকে সুস্থ থাকে শরীর, ভাল থাকে মন। হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখা, ঘুমের উন্নতি, হজমক্ষমতা ও  রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়াতে ডিটক্সিফিকেশন প্রয়োজন। আর এই যাবতীয় কাজে সাহায্য করে ডিটক্স পানীয়। তাহলে কোন 'ডিটক্স ওয়াটার' খেলে কী উপকার হয়, জেনে নেওয়া যাক-

সহজে হজম- সসপ্যানে দু'কাপ জল দিন। গরম হয়ে ফুটতে শুরু করলে হাফ চামচ গোটা জিরে দিন। জল ফুটে অর্ধেক না হওয়া পর্যন্ত ফোটাতে থাকুন। উষ্ণ গরম হয়ে গেলে খালি পেটে খান।জিরের জলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট আছে। হজমের সমস্যা থাকলে জিরের জল উপকারী।

মেদ ঝরান- এক গ্লাস উষ্ণ গরম জলে এক চামচ চিয়া সিড ১০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এরপর এক চামচ মধু ও অর্ধেক লেবুর রস দিয়ে দিন। সমস্ত মিশ্রণটি মিশিয়ে ব্রেকফাস্টের আগে খেয়ে খান। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ চিয়া সিড ওজন কমাতে সহায়ক। 

বশে ডায়াবেটিস- ২ কাপ জলে ১ চা চামচ মেথি দিয়ে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে উঠে খালি পেটে খেয়ে নিন। নিয়মিত এই পানীয় খেলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে ডায়াবেটিস।

পেট পরিষ্কার-শরীরে জমা টক্সিন দূর করতে এবং পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে ত্রিফলার জল। আর্য়ুবেদে এই পানীয়র বহুবিধ উপকারিতার বিষয়ে উল্লেখ রয়েছে।

ত্বকের জেল্লা-এক কাপ পালং শাক, আধ কাপ ধনেপাতা, দুই থেকে তিন আঁটি পার্সলে এবং একটি আমলকি নিন। সব পাতা পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে হবে। মিক্সারে ভাল করে ব্লেন্ড করুন। থকথকে একটি মিশ্রণ তৈরি হবে। গ্লাসে সেটি ছেঁকে নিন। রোজ সকালে খালি পেটে এই পানীয়ের সঙ্গে এক চিমটে নুন ও পাতিলেবুর রস মিশিয়ে খেয়ে খাওয়ার অভ্যাস করুন। শরীর থেকে টক্সিন বের করে হাইড্রেট করে এই পানীয়।তাই ত্বকও থাকে উজ্জ্বল ও দাগহীন। এই পানীয় দিয়েই ত্বকের বয়স থমকে যাবে, ফিরবে উজ্জ্বলতা।

ঝলমলে চুল-এক চামচ কুমড়োর বীজ ও দশটি আমন্ডকে একটি পাত্রে নিন। সঙ্গে দিন এক চামচ সূর্যমুখী ফুলের বীজ ও সাতটি কাজু।তিনটি খেজুরও দিতে হবে।সব কিছুকে পরিষ্কার মতো ধুয়ে এক চামচ ফ্লেক্স সিড দিন। এক কাপ জল দিয়ে সমস্ত উপকরণগুলো সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন।পরেরদিন সকালে ব্লেন্ডারে গোটা কলা ও এক কাপ ঠান্ডা দুধ দিন। ব্রেকফাস্টে নিয়মিত এই পানীয় খেলেই ফিরবে চুলের স্বাস্থ্য।