আজকাল ওয়েব ডেস্কঃ খাওয়ার পর নিয়মিত গ্যাসের সমস্যায় ভোগেন অনেকে। হজমের ওষুধ যেন নিত্যসঙ্গী। পুষ্টিবিদদের মতে, শুধু বাইরের ফাস্টফুড ও জাঙ্ক ফুড খাওয়া, রোজকার অনেক অভ্যাসই পেটের গোলমোল বাড়িয়ে দিতে পারে। তাহলে সুস্থ থাকতে কোন কোন অভ্যাস পরিবর্তন করবেন? জেনে নেওয়া যাক- 

সারাদিনের কোনও এক বেলায় না খাওয়া, অসময়ে খাওয়া বা অনেকক্ষণ খালি পেটে থাকা হজমের গোলমাল, পেটে অস্বস্তি ও অ্যাসিডিটির সমস্যাকে বাড়িয়ে দেয়। নিজের জীবনের রুটিনকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের ছকে বাঁধলে আপনার শরীরে তার ভাল প্রভাব পড়বে।

অপর্যাপ্ত ঘুম বা বেশি রাত পর্যন্ত জেগে থাকার অভ্যাস হজমের জন্য প্রয়োজনীয় হরমোনকে তৈরি হতে বাধা দেয়। ফলে নানা ধরনের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ বাড়তে থাকে। ঘুম কম হলে স্ট্রেস ও অস্থিরতাও বাড়ে। খাবার সহজেই হজম হতে চায় না। তাই এই ভুল অভ্যাস ছাড়তে পারলে আপনার পেটও থাকবে সুস্থ।
সকালের প্রথম খাবার হল ব্রেকফাস্ট। সারা রাত না খেয়ে থাকার পর সকালে পেট ভরে খেলে শরীর মেটাবলিজমকে সঠিকভাবে চালনা করার শক্তি পায়। তাই গোটা একটি দিন কেমন যাবে বা পেট কতটা সুস্থ থাকবে তার জন্য ব্রেকফাস্টের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। 

ফাইবারকে খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিলে হজম সংক্রান্ত সমস্যার জন্য অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। বিভিন্ন ফল ও শাকসব্জি ফাইবার খাদ্যনালীতে পৌঁছে ভাল ব্যাকটেরিয়াকে বাঁচায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য ও পেট ফাঁপা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। তাই ফাইবারকে বাদ দেওয়ার মত ভুল না করাই ভাল।

অতিরিক্ত স্ট্রেস শরীরে কর্টিসল হরমোনের মাত্রাকে বাড়িয়ে দেয় যা পেটে ব্যথা, পেট ফাঁপার মতো অবস্থা তৈরি করে। সবসময় স্ট্রেসকে আপনার জীবনে স্থায়ী জায়গা করতে দেবেন না। 

প্রয়োজনের তুলনায় কম জল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যয় ভোগার সম্ভাবনা প্রবল। তাছাড়া নানা ধরনের হজমের গোলমাল তো নিত্যসঙ্গী হয়েই থাকে। তাই এই ভুল করবেন না। খাবার সহজেই হজম করতে ও সব পুষ্টিকর উপাদান শরীরে শোষণ করতে জল বেশি খান।