আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভর সন্ধেয় কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন তিন যুবক। কিন্তু মাঝপথেই সব শেষ করে দিল ঘাতক লরি। উত্তরপ্রদেশের বরেলি-পিলভিট হাইওয়েতে লরির ধাক্কায় প্রাণ হারালেন দুই যুবক। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও এক জন। শনিবার রাতে হাফিজগঞ্জ থানার সিথরা গ্রামের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম প্রেমপাল (৩১) এবং সুনীল কুমার (১৭)। তাঁরা দুজনেই পিলভিটের অজিতডাণ্ডি গ্রামের বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন প্রচণ্ড কুয়াশা ছিল চারিদিকে। ফলস্বরূপ দৃশ্যমানতা কম থাকায় নবাবগঞ্জের দিক থেকে আসা একটি লরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাঁদের বাইকে ধাক্কা মারে। ছিটকে পড়েন তিনজনেই।
রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা দু’জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অন্যদিকে গুরুতর আহত গোপাল (১৮) বর্তমানে একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন।
দুর্ঘটনার পর লরি নিয়ে চম্পট দিয়েছে চালক। পুলিশ দেহ দুটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। হাফিজগঞ্জ থানার পুলিশ জানিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ঘাতক লরিটিকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। চালকের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। তদন্ত জারি রয়েছে।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই ঘন কুয়াশার জেরে ল্যাম্বুয়ায় ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা ঘটেছে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ধারের এক চায়ের দোকানে ঢুকে পড়ল একটি দ্রুতগতির ট্রাক। এই ঘটনায় ট্রাকচালক-সহ দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার জেরে আহত হয়েছেন আরও তিন জন। বৃহস্পতিবার সকালে সুলতানপুরের কুর্মিয়ানে রামপুর গ্রামে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন সকালে এলাকা ঘন কুয়াশায় ঢাকা ছিল। দৃশ্যমানতা কম থাকায় দিয়ারা থেকে আসা ট্রাকটি মাঝরাস্তায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। ট্রাকটি প্রথমে এক চায়ের দোকানে ধাক্কা মারে এবং পরে একটি গাছে গিয়ে আছড়ে পড়ে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই দোকানদারের ছেলে মাত্র ২৮ বছরের রোহিতের। তাঁর মা রাজকুমারী-সহ আরও তিন জন গুরুতর আহত হন। তাঁদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘাতক ট্রাকের চালক অঙ্কিত পাল (৩২) স্টিয়ারিংয়ের মাঝে আটকে পড়ে প্রাণ হারান। জানা গিয়েছে, তাঁর দেহ বের করতে গ্যাস কাটার ও জেসিবি মেশিনের সাহায্য নিতে হয়। পুলিশ মৃতদেহ দু’টি ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷
