আজকাল ওয়েবডেস্ক: শহরাঞ্চলে সেইভাবে শীতের দেখা না মিললেও গ্ৰামে পৌঁছে গেছে হিমের পরশ। কিন্তু এই শীত সঙ্গী করে এক ভয়ের কারণ, অর্থাৎ ক্লান্তি। অনেকেই আছেন যারা শীতকালে ঝিমিয়ে পড়েন অল্প পরিশ্রমেই, সারাদিন ক্লান্তিভাব কাজ করে তাদের মধ্যে। কিন্তু কিছু খাবার আছে যা এই সমস্যাকে সমাধান করতে পারে ও শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে।
শীতের সবজির মধ্যে অন্যতম হল সবুজ বিনস। সারা বছর বাজারে পাওয়া গেলেও দাম থাকে ভীষণ বেশি। কিন্তু শীতে বিনসের দাম যেমন কমে তেমনই প্রচুর পাওয়া যায়। ভিটামিন এ, সি, কে, ফলিক অ্যাসিড, ক্যালশিয়াম সবই রয়েছে বিনসের মধ্যে। থাকে অনেকটা ফাইবারও। অনেক বাচ্চাই পছন্দ করে না এই সবজি কিন্তু তাদের খাওয়ানোর দায়িত্ব বড়দের। বিনসে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট এবং আয়রন রয়েছে, যা মাংসপেশির দ্রুত বৃদ্ধি এবং মজবুত করে। নিয়মিত শরীরচর্চা করলে তাদের জন্য এই সবজি অত্যন্ত উপকারী। ডায়েটারি ফাইবার এবং কার্বোহাইড্রেটও থাকায় ডায়বেটিক রোগীদের জন্যও ভীষণ উপকারী।
মটরশুঁটির গুনাগুন প্রচুর। ক্লান্তিকে দূরে সরিয়ে শক্তি বৃদ্ধি করে এই দানার সবজি। মটরশুঁটির অ্যান্টিইনফ্লামেটরি ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট উপাদান শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। এই অ্যান্টিইনফ্লামেটরি উপাদান শরীরের টক্সিন দূর করে ক্যানসারের ঝুঁকিও কমায়। রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলকে জমতে না দিয়ে হৃদরোগ থেকে দূরে রাখে এই সব্জি। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও এর ভূমিকা রয়েছে। মটরশুঁটি থেকে প্রচুর প্রোটিন মেলে। তাই ওবেসিটির রোগীদের ফুল প্রোটিন ডায়েটে মটরশুঁটি অন্যতম উপাদান।
ক্লান্ত লাগলে খেতে পারেন কুমড়োর বীজ। কুমড়োর বীজে রয়েছে ট্রিপটোফ্যান। এই ট্রিপটোফ্যান ক্রনিক ইনসমনিয়া থেকে বাঁচাতে পারে। তাই অনিদ্রার সমস্যায় ভুগলে এই বীজ ডায়েটে রাখুন। কুমড়োর বীজে রয়েছে বিভিন্ন খনিজ, ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। তাই বহু গুরুতর রোগ থেকে আমাদের দূরে রাখে এই বীজ।
খুব ক্লান্ত লাগলে খেতে পারেন পেস্তা। পেস্তাবাদাম হৃদযন্ত্রের ধমনী বা রক্তবাহিকার স্বাস্থ্য ভাল রাখতে পারে। স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ফাইবার, প্রোটিন, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ভিটামিন বি৬ এবং থায়ামিনের মতো বহু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান আছে পেস্তাবাদামে। তাছাড়া আখরোটে ফ্যাটের পরিমাণ ৬৫ শতাংশ এবং প্রোটিনের পরিমাণ ১৫ শতাংশ। প্রচুর এনার্জি পাওয়া যায় এই বাদাম খেলে। বিভিন্ন রকম ভিটামিন এবং খনিজে ভরপুর আখরোট হার্টের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কম ক্যালোরি এবং উচ্চ ফাইবারযুক্ত পালং শাক শরীরে এনে দেয় অঢেল এনার্জি। হজমে সাহায্য করে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণেও বেশ উপকারী। পালং শাকে নাইট্রেট থাকে, যা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। ভিটামিন এ রক্তের শ্বেত কণিকাকে সক্রিয় করে, যা সংক্রমণ ও রোগ থেকে দেহকে রক্ষা করে। ম্যাগনেশিয়াম রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
শীতের অন্যতম সবজি ব্রকোলি। ব্রকলির মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ফাইবার, পটাশিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফোলেট, এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট।
ভিটামিন কে রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। ফাইবার, ফ্যাটি অ্যাসিড, এবং ভিটামিন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে।
