আজকাল ওয়েবডেস্কঃ মাছের সঙ্গে আপামর বাঙালির যেন জন্ম জন্মান্তরের সম্পর্ক। যে কোনও উৎসব অনুষ্ঠান হোক বা রোজ দুপুরে খাবার পাতে এক টুকরো মাছ চাইই চাই। এমন বহু মানুষ আছেন যারা শুধুমাত্র মাছের ঝোল থাকলে এক থালা ভাত অনায়াসেই শেষ করে উঠতে পারেন। শুধু স্বাদের দিক দিয়ে নয়, মাছের রয়েছে একাধিক পুষ্টিগুণও। মাছ চর্বিহীন প্রোটিন ও ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। 

তবে এমন কিছু মাছও আছে যাদের সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে হলে ভুলেও খাদ্যতালিকায় রাখা উচিত নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মাছগুলো একবার পেটে গেলেই বিষের মতো কাজ করতে পারে। বিশেষ করে বাড়ির ছোটদের ভুলেও দেবেন না এই মাছগুলো। 

মাগুর মাছ আকারে বেশ বড় ও খেতে সুস্বাদু হলেও ভুলেও বাড়িতে আনবেন না। কারণ মাগুর মাছ চাষের সময় এদের খুব তাড়াতাড়ি বড় করার জন্য চাষীরা নানা ধরণের হরমোন ইনজেকশন দিয়ে থাকেন, অর্থাৎ মারাত্মক অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে এদের বড় করা হয়। তাই বড় সাইজের মাগুর মাছ বাড়ি নিয়ে এসে রান্না করে খেলে এতে উপস্থিত বিভিন্ন ক্ষতিকর রাসায়নিক আপনার শরীরে প্রবেশ করে আপনার ক্ষতি করতে পারে ‌ কিন্তু তাই বলে কি মাগুর মাছ খাবেন না? তা একেবারেই নয়। বরং বাজারে গিয়ে ছোট সাইজের মাগুর কিনুন। তাতে হার্ট ও লিভার উভয়ই সুস্থ থাকবে। 

তেলাপিয়া মাছ খেতে যেমন সুস্বাদু, দামেও বেশ সস্তা। কিন্তু এই মাছের মধ্যে রয়েছে  বাজে ফ্যাট যা মানবদেহে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এছাড়াও চিকিৎসকদের মতে, যাদের হাঁপানি বা অ্যালার্জির মতো রোগ রয়েছে তাদেরও তেলাপিয়া মাছ চলবে না। 

বাজার থেকে যেই পাঙ্গাস মাছ কেনা হয় তাদের বেশিরভাগই চাষের হয়। এদের আকারে ও সংখ্যায় বড় করতে শরীরে রাসায়নিক 
ইনজেকশন প্রয়োগ করা হয়। যার থেকে ক্যান্সার ও হতে পারে। তাই সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে অবশ্যই মাছ খান তবে পাঙ্গাস মাছ নয়। 

রক্তশূন্যতা বা অ্যানিমিয়াতে ভুগলে জিওল মাছ খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু জেনে রাখা ভাল যে এই মাছও আর নিরাপদ নয়। বিভিন্ন পুকুর, ডোবায় এই মাছ চাষ করা হয়। তাই দূষিত জলে চাষ মাছ খেলে আমাদের শরীরে বন্ধ্যাত্বের সৃষ্টি হতে পারে।  তাই মাছ খান, কিন্তু অবশ্যই খেয়াল রাখবেন এইসব বিষয়।