আজকাল ওয়েবডেস্ক: দিনকেদিন বাড়ছে ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা। আজকাল অনিয়মিত জীবনযাপন, ভুল খাদ্যাভাস, স্ট্রেস সহ বিভিন্ন কারণে কমবয়সিদের মধ্যেও রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। ডায়াবেটিসে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। যার জন্য প্রথমেই খাদ্যাভাসের দিকে নজর দেওয়া জরুরি। বিশেষ করে বেশ কিছু খাবার ডায়েট থেকে বাদ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
ডায়াবেটিস এমন একটি শারীরিক পরিস্থিতি যেখানে ইনসুলিন শরীরে সঠিকভাবে তৈরি হয় না। আর এই পরিস্থিতিতে রক্তে উপস্থিত চিনির সঠিক ব্যবহার না হলে এর মাত্রা ক্রমশ বাড়তে থাকে যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই বিপজ্জনক। অনেকেই সুস্থতার জন্য নিয়মিত ড্রাই ফ্রুট খেয়ে থাকেন। কিন্তু এমন ৫টি ড্রাই ফ্রুট আছে যেগুলি রক্তে ব্লাড সুগারের মাত্রা বাড়াতে সিদ্ধহস্ত। এমনকী এই ধরনের ড্রাই ফ্রুট রক্তে মিশলে শরীরে 'বিষের' সমান প্রতিক্রিয়া হতে পারে। তাহলে ডায়াবেটিস থাকলে কোন কোন ড্রাই ফ্রুট এড়িয়ে চলবেন, জেনে নিন-
কিশমিশ- প্রাকৃতিক চিনি সমৃদ্ধ কিশমিশ। এমনকী অল্প পরিমাণে কিশমিশেও খুব উচ্চ মাত্রায় চিনি থাকে। তাই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে বুঝেশুনে কিশমিশ খাওয়া উচিত।
খেজুর- খেজুর খুব মিষ্টি ড্রাই ফ্রুট। এতে উচ্চ পরিমাণে প্রাকৃতিক চিনি রয়েছে, যা রক্তে শর্করার উপর প্রভাব ফেলে। ভিটামিন বি৬, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফাইবার ও আয়রনে সমৃদ্ধ খেজুর ডায়াবেটিস রোগীদের অতিরিক্ত না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
পেস্তা- গুড ফ্যাট ও ফাইবার থাকলেও পেস্তায় সুগারও রয়েছে। ক্যালোরি এবং কার্বোহাইড্রেটও বেশি থাকে। তাই স্বাস্থ্যকর হলেও ডয়াবেটিসে বেশি পেস্তা খাওয়া উচিত নয়।
কাজু- উচ্চ ক্যালরি এবং কার্বোহাইড্রেট যুক্ত ড্রাই ফ্রুট হল কাজু বাদাম। একটি ছোট প্যাকেট কাজুতে (৩০ গ্রাম) প্রায় ৯ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট এবং ১৮ গ্রাম ফ্যাট থাকে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে, এটি খুব সাবধানে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
ডুমুর- শর্করার পরিমাণ অনেকটাই বেশি থাকে শুকনো ডুমুরে । তাই খুব বেশি পরিমাণে এই ফল খেলে রক্তে শর্করার মাত্রায় হঠাৎ পরিবর্তন আসতে পারে। যা ডায়াবিটিসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
