আজকাল ওয়েবডেস্কঃ শীতের মৌসুমে শাক-সবজির বাজারে প্রায় চোখে পড়ে পালং শাক। নানা গুণে সমৃদ্ধ এ শাকে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন, ভিটামিন, আয়রন এবং মিনারেলস। যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। হাড়কে করে মজবুত। ত্বক ও চুলের উজ্জ্বলতাও বাড়িয়ে দেয় বহুগুণ। আমরা সাধারণত পালং শাক সিদ্ধ বা তরকারি হিসেবেই রান্না করে থাকি। কিন্তু খেয়েছেন কি কখনো পালং শাকের জুস? যার গুণাবলী বহুগুণ বেশি।
পালং শাকের জুসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত পালং শাক খেলে যৌবন ধরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। এছাড়া প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পালংশাকের জুস খেয়ে কমিয়ে ফেলা যাবে বাড়তি মেদ। আপনি চাইলে মাত্র ১ মাসের মধ্যেই পালংশাকের জুস খেয়ে ১০-১৫ কেজি ওজন কমিয়ে ফেলতে পারেন। পালংশাক ডায়াবেটিস এবং হাঁপানি রোগীদের জন্যও বেশ কার্যকরী। পালং শাকে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, জিঙ্কের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ও খনিজ। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ঘটিয়ে বাইরের যে কোনও ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে শরীরকে সুস্থ রাখতেও দুর্দান্ত কাজ করে এই শাকের জুস। পালং শাকের মধ্যে কিছু উপকারী উপকরণ মিশিয়ে প্রতিদিন তার জুস পান করলে শরীরের ইমিউনিটি বাড়তে পারে, ক্য়ানসার কোষের বিরুদ্ধে লড়াই করে। কিন্তু এই শাকের রসে মিশিয়ে নিন আরও কিছু উপাদান। তবে ফলাফল পাবেন অনেক বেশি। পালং শাকে সঙ্গে টমেটোর রস মিশিয়ে পান করলে এটি শারীরিক দুর্বলতা , ক্লান্তিবোধ, অলসতা দূর করতে সাহায্য করে। এই উপকারী জুস প্রতিদিন পান করলে ত্বকের বলিরেখা দূর হয়। গোলমরিচ মিশিয়ে নিতে পারেন। পালং শাক খাওয়ার সময় যদি অল্প পরিমাণ গোটা গোলমরিচ মিশিয়ে জুস পান করেন, তাহলে ঠান্ডা লেগে কাশির প্রবণতা হ্রাস হবে তাড়াতাড়ি। আবার
পালং শাকের জুসের সঙ্গে গাজরের রস মিশিয়ে খেলে অ্যানিমিয়ার সমস্যা দূর হয়। এছাড়া ত্বক সংক্রান্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে, শরীরের ক্ষত দ্রুত সেরে ওঠে। এই জুস তৈরির সময় কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে পান করলে কিডনিতে পাথর তৈরির প্রবণতা দূর হয়ে যায়। দিনে দুবার করে খেলেই এর উপকারিতা নজরে পড়বে। নিয়মিত এই জুস খেলে ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগের ঝুঁকি কমে। সেই সঙ্গে পালং শাকে কম ক্যালরি রয়েছে। যা ওজন কমাতেও সাহায্য করে। আপনি যদি স্থূলতার সমস্যায় ভোগেন, তাহলে প্রতিদিন পালং শাকের রস পান করা আপনার জন্য ভীষন স্বাস্থ্যকর।
