আজকাল ওয়েব ডেস্কঃ মহিলাদের শরীরে সব সময়ই কিছু বায়োলজিক্যাল পরিবর্তন হতেই থাকে। এই পরিবর্তনকে সামলে শরীরকে সুস্থ রাখতে সঠিক পুষ্টির প্রয়োজন। সবুজ টাটকা পালং শাকের মধ্যে রয়েছে এইসব পুষ্টিগুণ। পালং শাক একটি সুপারফুড। এতে ক্যালরির পরিমাণ খুবই কম। স্বাস্থ্যকর পুষ্টির সঙ্গে বিভিন্ন উপায়ে আপনার স্বাস্থ্যের উপকার করে।

মহিলাদের জন্য বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলারা আয়রনের অভাবে ভোগে। পালং শাক লোহিত রক্ত কণিকার সংখ্যা বৃদ্ধি করে অ্যানিমিয়া দূর করে খুব সহজেই। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধির এটি একটি ভাল উপায়।যেহেতু পালং শাকের কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স রয়েছে, তাই এটি আপনাকে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।
রক্তাল্পতার মতো মারাত্মক রোগ থেকে রক্ষা করে এই শাক। ১০০ গ্ৰাম পালং শাকে ২.৭ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে। তাছাড়া ফোলেট অর্থাৎ ভিটামিন বি৯ সন্তানধারণের জন্য ভীষন গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভস্থ শিশুর জন্মগত ত্রুটির সম্ভাবনা কম করে এই শাক। প্রতি ১০০ গ্ৰাম পালং শাকে ১৬৫ মিলিগ্ৰাম ফোলেট থাকে। 
 প্রতি ১০০ গ্ৰাম পালং শাকে ৯৯ মিলিগ্ৰাম ক্যালশিয়াম থাকে, যা অস্টিওপোরোসিসের সম্ভাবনাকে কমায় ও হাড়ের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত যে কোনও সমস্যায় মোক্ষম অস্ত্র হিসেবে কাজ করে। ম্যাগনেসিয়াম নার্ভের কাজও সঠিকভাবে করতে সাহায্য করে। ব্লাড প্রেশার ও সুপারকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। রক্তকে জমাট বাঁধতে দেয় না ভিটামিন কে, যা পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে আছে।
 
ইমিউনিটিকে বাড়ানো ছাড়াও চোখের দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ও ত্বকের স্বাস্থ্যকেও রক্ষা করে এই শাক। কারণ ভিটামিন এ প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় পালং শাকে।

শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ভিটামিন সি যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, কোলাজেন তৈরিতে সাহায্য করে, শরীরে আয়রন শোষণও বেড়ে যায় এই পালং শাক খেলে। এইসব উপাদান মহিলাদের শরীরের জন্য ভীষন প্রয়োজনীয়।

পালং শাকের পটাশিয়াম উপাদান রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে, স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায় এবং মেনোপোজ পরবর্তী মহিলাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।