আজকাল ওয়েবডেস্ক: 
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খাচ্ছেন? রক্তের শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করা সহজসাধ্য হয় বাজরার গুণে। ক্রনিক রোগগুলি দূরে রাখতে এবং অন্ত্রের কাজকে সঠিক রাখতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখুন বাজরা, বলছেন চিকিৎসকরা। 
বাজরা কীভাবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে পারে?
ডায়াবেটিস রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি করে। বাজরা সেই শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করে। রক্তচাপ, কোলেস্টেরল এবং ওজন ঠিক রাখতে সাহায্য করে। সেই কারণেই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বাজরা সুষম খাদ্য।
গমের আটা দ্রুত হজম হয় এবং বাজরা হজম হতে বেশি সময় নেয়। কায়িক পরিশ্রমকারীরা বাজরার আটা খাদ্য হিসেবে বেশি পছন্দ করেন।
গমের আটা, চাল, রুটির তুলনায় বাজরায় কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স থাকে। তাই বাজরা রক্তে শর্করার মাত্রাকে ধীর গতিতে বৃদ্ধি করে। 
এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। যা হজমে সাহায্য করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং খাদ্যের পূর্ণতা বজায় রাখে। ফাইবার রক্ত প্রবাহে গ্লুকোজ নিঃসরণকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং রক্তে শর্করার হার কমাতে সাহায্য করে। ম্যাগনেসিয়াম-সহ প্রয়োজনীয় পুষ্টিতে পরিপূর্ণ বাজরার অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে এবং ইনসুলিন নিঃসরণকে প্রভাবিত করে।
বাজরা নিয়মিত খেলে লিপিড প্রোফাইল বশে থাকে। যা কার্ডিওভাসকুলার সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। 
বাজরা খাওয়ার সুস্বাদু উপায়
১. বাজরার উপমা: সুজির পরিবর্তে বাজরার সঙ্গে সবজি এবং হালকা মশলা দিয়ে হালুয়া তৈরি করুন। এটি পুষ্টিকর খাদ্য।
২. বাজরার খিচুড়ি: রাতের খাবারের জন্য বাজরা এবং মুসুর ডালের সঙ্গে সবজি এবং মশলা দিয়ে খিচুড়ি রান্না করতে পারেন। হজম করা সহজ এবং রক্তে শর্করার মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
৩. বাজরা ধোসা এবং ইডলি: ভাতের পরিবর্তে বাজরার গুঁড়ো দিয়ে ধোসা ও ইডলি তৈরি করুন। ফাইবার থাকায় এই খাবার হালকা ও সহজপাচ্য। 
৪. বাজরা স্যালাড: রান্না করা বাজরার সঙ্গে কাটা শাকসবজি, ভেষজ এবং হালকা মশলা দিয়ে স্যালাড তৈরি করতে পারেন। কম-ক্যালোরি এবং উচ্চ-ফাইবারযুক্ত হালকা এই খাবার দুপুরের জন্য উপযুক্ত।
৫. মিলেট স্টার-ফ্রাই: রান্না করা বাজরার সঙ্গে ভাজা সবজি, টফু বা চর্বিহীন মাংস মিশিয়ে একটি পুষ্টিকর সুষম খাবার তৈরি করা যায়।