চার দিনের আনন্দ উৎসবের পর দশমী মানেই দুর্গার চলে যাওয়া। আবার একটা বছরের অপেক্ষা। মা-কে বরণ করে বিদায় দেন মহিলারা। পরষ্পরের মধ্যে সিঁদুর খেলার মাধ্যমে প্রকাশ পায় আনন্দ, ভালবাসা। মুখে, গলায় ও চুলে সিন্দুর লাগানোর আনন্দে মেতে ওঠেন সকলে। এই রঙিন ঐতিহ্যবাহী খেলা আনন্দদায়ক, হলেও এতে ত্বক ও চুলের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও থাকে। বিশেষত ত্বক সংবেদনশীল হলে র্যাশ, চুলকানি, ত্বকে লালভাব, চুলের রুক্ষতা, চুল পড়া হতে পারে। তবে সঠিক উপায়ে যত্ন নিলে ত্বক ও চুলের সমস্যা এড়াতে পারবেন।
ত্বকের যত্ন
১. তেল লাগানোঃ নারকেল তেল বা অলিভ তেল ব্যবহার করা সবচেয়ে সহজ ও কার্যকরী উপায়। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ত্বকের লালভাব কমাতে সাহায্য করে এবং ত্বককে নরম রাখে। সিঁদুর ধুয়ে ফেলার পরে হালকা তেল মালিশ করলে আরাম পাওয়া যায়।
 
 ২. প্রাকৃতিক ফেস প্যাকঃ দই ও বেসন মিশিয়ে মুখ, ঘাড় ও হাতে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রাখুন। তারপর ঠাণ্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বকের লালভাব ও জ্বালাপোড়া কমায় এবং ত্বককে সতেজ রাখে।
 
 ৩. অ্যালোভেরা জেলঃ ত্বক খুসখুসে বা লাল হয়ে গেলে প্রাকৃতিক অ্যালোভেরা জেল লাগাতে পারেন। এটি ত্বককে ঠান্ডা রাখে। ত্বকের নানা সমস্যা এড়ানো যায়।
চুলের যত্ন
১. অয়েল ম্যাসাজঃ চুলে সিঁদুরের অবশিষ্টাংশ থাকলে শুষ্কভাব ও খুশকি তৈরি করতে পারে। নারকেল তেল বা আমন্ড অয়েল দিয়ে হালকা মালিশ করলে চুল পুষ্টি পায়, চুল পড়া কমে এবং চুলের স্বাস্থ্য ঠিক থাকে।
২. চুলের মাস্কঃ দই ও মধু মিশিয়ে চুলে মাস্ক লাগান। ১৫ মিনিট রেখে হালকা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি চুলকে মসৃণ ও প্রাণবন্ত রাখে এবং সিঁদুরের ক্ষতি কমায়।
এছাড়াও হালকা ও মৃদু শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। বেশি রাসায়নিক এড়িয়ে চলুন। সিঁদুর বেশি সময় চুল বা ত্বকে রাখবেন না, যত দ্রুত সম্ভব ধুয়ে ফেলুন। ঠান্ডা জল ব্যবহার করলে চুল ও ত্বকে জ্বালাপোড়া কম থাকে। যদি চুল খুব বেশি পড়ে, তাহলে ত্বকে র্যা শ দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
