আজকাল ওয়েবডেস্ক: রাজার বাড়ি দিয়ে শুরু হল এসআইআর। জলপাইগুড়ি বৈকুন্ঠপুর রাজবাড়িতে এসআইআর-এর ফর্ম নিয়ে গেলেন বিএলও। সঙ্গে সদর ব্লকের বিডিও মিহির কর্মকার। পরিবারের কার কার নাম রয়েছে তালিকায় সেটা যাচাই করে দেখা হয়। রাজ পরিবারের সদস্য প্রনতকুমার বসুর সঙ্গে কথা বলেন অ্যাসিস্ট্যান্ট ইলেক্ট্রোরাল রেজিষ্ট্রেশন অফিসার হিসেবে (এইআরও) দায়িত্বে থাকা বিডিও মিহির কর্মকার। পাশাপাশি রাজবাড়ি পাড়া এলাকার প্রতিটি বাড়িতেই যান তাঁরা।

রাজ পরিবারের সদস্য প্রনতকুমার বসুর কথায়, 'আমাদের ফর্ম দিয়ে গেলেন আধিকারিকরা। আমরা তাঁদের আন্তরিকতায় মুগ্ধ। ভাল করে বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন। আমরা সংবাদ পত্রে পড়েছি, টেলিভিশনে দেখেছিলাম। আজ তা দেখলাম সরাসরি। তাঁরা ফর্ম দিয়ে গিয়েছেন। আবার নিতেও আসবেন বলে গিয়েছেন।' 

রাজ পুরোহিত শিবুঘোষালের কথায়, 'খুবই ভাল লাগলো।' সদর ব্লকের বিডিও মিহির কর্মকার বলেন, 'আমরা রাজবাড়ি বলে নয়, এই রাজবাড়ি পাড়া এলাকাতেই সব বাড়ি বাড়ি এই ফর্ম দেওয়ার কাজ করছি।' 

অন্যদিকে পূর্ব ঘোষণা মতো রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তেও মঙ্গলবার শুরু হয়েছে এসআইআর। এদিন বসিরহাট ১ নম্বর ব্লকের সংগ্রামপুর শিবহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের তিন নম্বর বুথে বিএলও সইফুদ্দিন গাইন বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাঁর তিন নম্বর বুথ এলাকার সমস্ত পরিবারদের হাতে তুলে দিয়েছেন এসআইআর ফর্ম।

এলাকার বাসিন্দা ইছাক গাইন জানান, 'এসআইআর হওয়া ভাল। কিন্তু বৈধ ভোটারের নাম যদি তালিকা থেকে বাদ যায় তবে অবশ্যই সেটা ভাল নয়। সঠিক যাঁরা ভারতীয় ভোটার, তাঁদের নাম বাদ গেলে দুঃখজনক হবে। কিন্তু যাঁরা অবৈধ ভোটার বা বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী, তাঁদের নাম বাদ গেলে কিছু যায় আসে না। তবে এসআইআর-এর প্রয়োজন আছে।'

প্রসঙ্গত, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে বারোটি রাজ্যে শুরু হয়েছে এসআইআর প্রক্রিয়া। যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ একটি এবং তাকে কেন্দ্র করে এবার প্রশিক্ষণ পর্ব শুরু হয়েছে বিএলওদের। দেশের ১২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বর্তমানে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন অভিযান চলছে। এই সময়ে প্রতিটি বিএলওকে নির্দিষ্ট বুথ এলাকার অন্তর্গত পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে ভোটার তথ্য হালনাগাদ করতে হয়। কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, যদি কোনও ভোটারকে বাড়িতে না পাওয়া যায়, তবে সেই বাড়িতে সর্বাধিক তিনবার যেতে হবে।