আজকাল ওয়েবডেস্ক: পরকীয়া আইনত সিদ্ধ হোক বা নিষিদ্ধ, তার নৈতিকতা নিয়ে বিতর্ক ছিল-আছে-থাকবে। এবার সেই পরকীয়াকে কেন্দ্র করেই এমন একটি ঘটনা ঘটল এক বিচারপতিকে নিয়ে যা দেখে কেঁপে উঠছেন অভিজ্ঞ পুলিশকর্তারাও। তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার অভিযোগে বিচারপতিকে খুন করলেন এক ব্যক্তি। আর সেই বীভৎসতাতেই কেঁপে উঠেছে গোটা রাশিয়া।
আরও পড়ুন: নিজেই জানতেন না তিনি অন্তঃসত্ত্বা! মলত্যাগ করতে গিয়ে সন্তানের জন্ম দিলেন মহিলা
আরও পড়ুন: রোগীদের উপুড় করে নিম্নাঙ্গের অন্তর্বাস খুলে নিতেন! তারপর…? বিস্ফোরক অভিযোগ নামী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে

রুশ সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মৃত বিচারপতির নাম ভ্যাসিলি ভেটলুগিন। রাশিয়ার ভোলগোগ্রাদ অঞ্চলের বাসিন্দা তিনি। রাশিয়ার রাস্তা থেকে যখন ৪০ বছর বয়সি ভ্যাসিলির দেহ উদ্ধার হয় তখন হাড় হিম হয়ে যায় প্রত্যক্ষদর্শীদের। কারণ তাঁর পুরুষাঙ্গ কেটে তাঁরই মুখে গুঁজে দিয়েছিলেন আততায়ী। শুধু তাই নয়, বিচারপতির এক চোখে ঢোকানো ছিল আস্ত একটি ছুরি!
আরও পড়ুন: ‘স্তনদুগ্ধ আইসক্রিম’ খেতে হুড়োহুড়ি বড়দেরও! কত দাম? কোথায় পাওয়া যাবে এই স্বাদ?
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানাচ্ছে, ঘটনার কেন্দ্রে রয়েছে সম্পর্কের টানাপোড়েন। আততায়ীর স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন ওই বিচারপতি। বাড়িতে স্ত্রীর সঙ্গে তাঁকে সঙ্গমরত অবস্থায় ধরে ফেলেন স্বামী। তাঁরই প্রতিশোধ নিতে প্রথমে একটি রুশ শটগান দিয়ে তাঁকে গুলি করেন মহিলার স্বামী। তারপর ছিন্নভিন্ন করেন দেহ। শেষ পর্যন্ত সবাইকে দেখানোর জন্য দেহ ফেলে রাখেন প্রকাশ্য রাস্তায়।
পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল ঘিরে ফেললেও তার আগেই বিচারপতির দেহের ছিন্নভিন্ন ছবি ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সমাজমাধ্যমে। প্রশাসনের তরফ থেকে সরকারি ভাবে কিছু ঘোষণা না করা হলেও স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর আততায়ী নিজেই খুনের পর পুলিশের কাছে আত্ম সমর্পন করেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ জানিয়েছে তিনি আগেই জানতে পারেন স্ত্রীর পরকীয়ার কথা। এর পরই বিচারপতিকে বাগে পাওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত বিচারপতিকে সামনে পেতেই গুলি করেন তাঁকে। তার পর ছুরি দিয়ে কেটে নেন পুরুষাঙ্গ। সেই পুরুষাঙ্গ গুঁজে দেন বিচারপতির মুখেই।

আততায়ীর পরিচয় প্রকাশ্যে না এলেও প্রশাসনের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি পেশায় ব্যবসায়ী। রুশ আইন অনুযায়ী ১০৫ নম্বর ধারায় হিংসাত্মক আচরণ নিয়ে খুন, ২২২ নম্বর ধারায় অবৈধ অস্ত্র রাখার মতো একাধিক অভিযোগে মামলা দায়ের করে তদন্ত করা হচ্ছে।