আজকাল ওয়েবডেস্কঃ জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, কুণ্ডলীতে বৃহস্পতি গ্রহের অবস্থানকে শক্তিশালী করার জন্যও চন্দন কাঠের প্রতিকার অত্যন্ত উপকারী বলে মনে করা হয়। হিন্দুধর্মে পুজোকর্মে চন্দন কাঠের ব্যবহার বহু প্রচলিত। যে কোনও পুজোয় চন্দনের বিশেষ ব্যবহার করা হয়। চন্দনের প্রলেপ বা মালার ব্যবহার হিন্দু ধর্মে বেশ পরিচিত। সাধারণত, বিষ্ণু ও কৃষ্ণের আরাধনায় চন্দনের ব্যবহার করতে দেখা যায়। চন্দন কাঠের বেশ কিছু প্রতিকার মেনে চললে ধন-সম্পদের পাশাপাশি জীবনে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে। তবে সাদা চন্দনের তুলনায় লাল চন্দন ত্বকের জন্য মহৌষধি। সাধারণ চন্দনের তুলনায় এর গুণ ও গন্ধ দুটোই বেশি। এই লাল চন্দন দিয়ে ঘরোয়া ফেস প্যাক তৈরি করে রাখুন। ব্যবহার করতে পারলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে বহুগুণ।

আপনার শুষ্ক ত্বক হলে ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করার জন্য লাল চন্দনের গুঁড়োর সঙ্গে কয়েক ফোঁটা নারকেল তেল মিশিয়ে ত্বকের ওপর প্রয়োগ করুন। এতে ত্বক কোমল হয়ে উঠবে। যদি আপনার ত্বক তৈলাক্ত হয় তাহলে লাল চন্দনের গুঁড়োর সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করুন এবং ত্বকের ওপর সেটা লাগান। শুকিয়ে গেলে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

আপনার ত্বকে ব্রণর সমস্যা থাকে তাহলে লাল চন্দনের গুঁড়োর সঙ্গে গোলাপ জল মিশিয়ে ত্বকে মাখুন। এতে ব্রণর সমস্যা নিমেষে দূর হয়ে যাবে। দইয়ের সঙ্গে লাল চন্দনের গুঁড়ো মিশিয়েও ত্বকের ওপর ব্যবহার করতে পারেন। এতে সান-ট্যানের সমস্যা দূর হয়ে যাবে। রোদে পোড়া ত্বক মেরামতেও চন্দনের বিকল্প নেই। গোলাপজল, অল্প টকদই, শসার রসের সঙ্গে চন্দন মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে, ২০ মিনিট মুখে লাগিয়ে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সাত দিনের মধ্যে পোড়া ভাব কমে ত্বকের আসল রং ফিরে আসবে। রোদে পোড়ার জ্বালা ভাবটাও উধাও হয়ে যাবে। মুখের বলিরেখা ও চোখের তলার ডার্ক সার্কল সৌন্দর্যের একটা বড় অন্তরায়। চন্দন অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের উপাদানে ভরপুর। আর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টই বয়স ধরে রাখতে বা অ্যান্টিএজিংয়ের কাজে সাহায্য করে। চোখের তলার কালো দাগ ভ্যানিশ করার জন্য চন্দনের সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে মিনিট পাঁচ-সাত রাখুন। তার পর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এক সপ্তাহের মধ্যে ফলাফল দেখে আপনি নিশ্চিত খুশি হবেন। মুখে কালো দাগ দূর করার জন্য লাল চন্দনের সঙ্গে নারকেল তেল ও লেবুর রস মিশিয়েও ব্যবহার করতে পারেন। তবে খুব বেশি সেনসিটিভ ত্বক হলে, লেবুর রস ব্যবহার না করাই ভাল।