বছরের শেষটা যেন জমকালো হয়, এই প্রতিশ্রুতি দিয়েই এক জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন 'ভূতের রাজা দিল বর', 'বাবুর্চি', 'পোস্ত' ও অন্যান্য আরও অনেক মাল্টি কুইজিনের কর্ণধার রাজীব পাল। শীতের জড়তাকে উষ্ণতায় ভরিয়ে দিতে যাদবপুরের বাবুর্চিতে জড়ো হয়েছিলেন শিল্প সংস্কৃতি ও কর্পোরেট জগতের অদ্বিতীয় ব্যক্তিত্বরা। নতুন বছরকে সাদরে বরণ করে নেওয়ার আগাম প্রস্তুতিতে উন্মোচিত হল ২০২৬-এর ক্যালেন্ডার।
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মমতা শঙ্কর, ঋদ্ধি বন্দ্যোপাধ্যায়, রূপসা মুখোপাধ্যায়, জিৎ চক্রবর্তী সহ আরও অনেকে। গানে, আড্ডায়, গল্পে মশগুল এই শীতের সন্ধ্যায় উপরি আকর্ষণ ছিল বাবুর্চির মুখরোচক খাবার।
কর্ণধার রাজীব পাল আজকাল ডট ইন-কে বলেন,"প্রথমদিকে প্রতি বছর আমরা এরকম ক্যালেন্ডার লঞ্চ করতাম। মাঝে বন্ধ করে দিয়েছিলাম। কিন্তু দেখলাম আমাদের বাবা,মা'দের বয়সী যাঁরা আছেন, তাঁরা এখনও ক্যালেন্ডারের হার্ডকপি ব্যবহার করেন। তাই আবারও এটা শুরু করেছি। আমাদের ক্যালেন্ডারে বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষাই আছে। এদিকে, এবারের ক্যালেন্ডারের ফিচারেও চমক রয়েছে। শুধু বিনোদন জগতের তারকা নয়, ২০২৬-এর ক্যালেন্ডারে দেখা যাবে কর্পোরেট জগতের বিশিষ্ট মানুষদেরও। যাঁরা প্রতিনিয়ত মানুষকে জীবনের পথে উদ্ধুদ্ধ করে চলেছে।"
তিনি আরও বলেন, "আরও একটা বিষয় জানানোর আছে, এখন থেকে আমি এইসব ফ্রাঞ্চাইজির মালিক নই, কর্মচারী। আসলে আমাদের সমস্ত শাখা এবং প্রতিষ্ঠান কুলিনারি ভেঞ্চারস প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে যুক্ত হতে চলেছে।"
নতুন বছরে কি স্বাদেও নতুনত্ব আনছেন তিনি?রাজীব পালের কথায়, "নতুন বছরে নতুন ধরনের ডিশ তো থাকবেই। ভূতের রাজা দিল বর-এ পয়লা জানুয়ারি থেকে পাওয়া যাবে ভাতুরি। পাতুরি তো সবাই খেয়েছেন, এবার খাবেন ভূতের রাজার ভাতুরি। যদিও এই পদের বিশেষত্ব এখনই খোলসা করব না। আগে সবাই এসে টেস্ট করুক, তারপর নিজেরাই বুঝবেন। এছাড়াও আরও একটা সুখবর, নতুন বছরে দেশে এবং বিদেশে আরও কয়েকটি আউটলেট খুলতে চলেছে আমাদের।
