আজকাল ওয়েবডেস্কঃ বাঙালির নানা জিভে জল আনা পদের রান্নাতে পড়ে কিশমিশ। পায়েস থেকে পোলাও, সামান্য কিশমিশ ছড়িয়ে দিলেই বেড়ে যায় স্বাদ। সকালে আমন্ড, আখরোটের সঙ্গে কিশমিশ খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। কিন্তু শুধু কিশমিশ নয়, জানেন কি কিশমিশ ভেজানো জল খেলেও পাওয়া যায় প্রচুর উপকার।

ভেজানো কিশমিশ স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। বেশিরভাগ মানুষই কিশমিশ ভেজানোর পর সেই জল ফেলে দেন। আর এখানেই হয় ভুল। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, এই জলের গুণ কিন্তু কম নয়। সারা রাত ভেজার পর ওই জলের মধ্যে কিশমিশের যাবতীয় উপাদান দ্রবীভূত হয়ে যায়। তাই নিয়মিত কিশমিশ ভেজানো জল খেলে বিশেষ করে গরমকালে বিবিধ রোগ থেকে দূরে থাকা যায়। 

* শরীর ঠান্ডা রাখার জন্য ভেজানো কিশমিশ খাওয়া উপকারী। কারণ কিশমিশ গরম প্রকৃতির এবং ভেজানোর পর খেলে তা ঠান্ডা হয়। বিশেষ করে কিশমিশ ভেজানো জল খেলে শরীরের তাপ বাড়ে না। শরীরে জলশূন্যতা হয় না। 

* সকালে খালি পেটে কিশমিশ ভেজানো জল খেলে সারাদিন এনার্জি থাকে। কিশমিশে উচ্চ মাত্রায় প্রাকৃতিক সুগার উপাদান থাকায় দিনের শুরুতে এটি খেলে সারাদিনের কাজের এনার্জি পাওয়া যায়।

* কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে ফাইবার প্রয়োজন। কিশমিশের মধ্যে থাকা ফাইবার জলে ভিজলে সহজপাচ্য হয়ে ওঠে। ফলে সেই জল নিয়মিত খেলে পেটের সমস্যা দূর হয়, হজম ক্ষমতা বাড়ে। লিভার থেকে টক্সিন দূর করে লিভারের কার্যক্ষমতা বাড়ায়।

* কিশমিশ ভেজানো জলের মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে। যা ফ্রি র‌্যাডিক্যালের হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করে। এর মধ্যে থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা বাড়াতে সাহায্য করে।

* পর্যাপ্ত পরিমাণে লোহিত কণিকা তৈরি না হলে, রক্তাল্পতার সমস্যা দেখা যায়। মহিলারা রক্তাল্পতায় বেশি ভোগেন। কিশমিশ ভেজানো জল এই সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করে।  লোহিত কণিকা উৎপাদনে সাহায্য করে কিশমিশ।

* কিশমিশ ভেজানো জল হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এটি খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমিয়ে হার্টকে ভাল রাখে। রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। এছাড়া ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে কিশমিশ।