আজকাল ওয়েবডেস্কঃ কুমড়োর পাশাপাশি এর শাকও অনেক দিনই বাঙালির প্রিয় খাবারের মধ্যে একটি। নানা ভাবে খাওয়া যায় শাক। ডাল, পোস্ত বাটা দিয়ে চচ্চড়ি তো বটেই, কুমড়ো পাতায় মুড়ে দিব্যি হয় ভাপা অথবা পাতুরিও। ঘন সবুজ কুমড়ো পাতায় প্রচুর আয়রন আছে। তার ফলে শরীরের রক্তাল্পতা রোধ হয়। মহিলাদের ডায়েটে রাখুন এই শাক। পাতায় থাকা ভিটামিন সি ত্বকের জেল্লা ধরে রাখে। ছোটখাটো ক্ষত সারিয়ে তোলে। রোগ প্রতিরোধ শক্তি মজবুত করে।
দৃষ্টিশক্তি উজ্জ্বল রাখার জন্য অবশ্যই খেতে হবে কুমড়ো শাক। হাড় ও দাঁতের স্বাস্থ্য মজুবত করে এই পাতা। প্রোটিনে ভরপুর এই শাক রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। তাই ব্লাড সুগারের সমস্যা থাকলে নিয়মিত এই শাক খান। নিয়ন্ত্রণে থাকবে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রাও।
প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ শাক কুমড়োর পাতা। এটি ক্ষত সারাতে বেশ কার্যকর। তাই যে কোন আঘাত দূর করতে কুমড়ো শাক খাওয়া যেতে পারে। এই শাক দাঁত ও হাড় মজবুত করতেও সহায়তা করে। শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো মায়েদের শরীরে যথেষ্ট প্রোটিন প্রয়োজন। তার জন্য কুমড়োর শাক খুবই উপকারী। কারণ এটি শরীরের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি সরবরাহ করে। ভিটামিন-এ ও সি-সমৃদ্ধ কুমড়ো শাক ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে। সেই সঙ্গে ভাল থাকে চুলও। কুমড়ো শাকে প্রচুর খাদ্য আঁশ থাকায় হজমে সাহায্য করে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার কুমড়োর শাকের সবজি, স্যুপ বা কুমড়ো পাতার রস খাওয়া যেতে পারে। এছাড়াও চোখের ছানি প্রতিরোধ করতে যথেষ্ট উপকারী এই শাক।
