আজকাল ওয়েবডেস্ক: তিনি চার সন্তানের মা। কিন্তু যিনি সেই সন্তানদের পিতা তাঁকেই এখন আর সময় দেন না বধূ। কারণ প্রকৃত ভালবাসা খুঁজে পেয়েছেন তিনি। সেই ভালবাসাকে যতক্ষণ পারেন আদর করেন, আঁকড়ে ধরে থাকেন। এমনকী বিছানায় এখন আর স্বামীর জায়গা হয় না। ঘুম ভেঙে উঠেই নতুন প্রেমিককে খোঁজেন তিনি। প্রেমিকও কম ভালবাসে না। স্নানঘর থেকে অফিস সর্বত্র ছায়াসঙ্গী হয়ে থাকে।

আমেরিকার নিউ জার্সির বাসিন্দা ওই বধুর নাম এলসি গঞ্জালেস। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে এলসি নিজেই স্বীকার করেছেন সকালে উঠে তিনি আর স্বামী অ্যালেক্সকে চুমু খান না, বরং চুম্বনে চুম্বনে ভরিয়ে দেন নব্যপ্রেমিক ম্যাসিমোকে। ঘুমাতে যাওয়ার আগেও ঘটে একই ঘটনা। পেশায় আইনজীবী এলসি যখন বিদেশ ভ্রমনে যান তখনও ম্যাসিমোকে সঙ্গে করে নিয়ে যান। কিন্তু এত কিছুর পরেও স্ত্রীকে কিছু বলেন না স্বামী অ্যালেক্স। কারণ কী?

কারণ সম্পর্ক অম্লমধুর হলেও তিনিও যে বড় স্নেহ করেন এক বছর বয়সি ম্যাসিমোকে! হ্যাঁ, এক বছর বয়স ম্যাসিমোর। ম্যাসিমো মানুষ নয়, মাল্টিপু প্রজাতির কুকুর। পোষ্যটির প্রতি স্ত্রীর টান একটু বেশি হলেও, তিনিও মনে মনে খুবই ভালবাসেন ছোট্ট কুকুরটিকে। তাঁদের সব কাজই যেন তাকে ছাড়া অসম্পূর্ণ। এমনকী কাজের সূত্রে বিশেষ যাওয়া থেকে শুরু করে নিজেদের বিবাহবার্ষিকী পালন, সবেতেই দম্পতির চোখের মণি কুকুরটি। সম্প্রতি তাঁদের এই পোষ্যপ্রীতির কথা ভাইরাল হয়েছে নেটমাধ্যমে। মজার মানুষ অ্যালেক্সও কাঁদো কাঁদো মুখে ছবি তুলে মন জয় করেছেন নেটিজেনদের।